পটুয়াখালীতে অপহরণের প্রায় ২ মাস পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পটুয়াখালীর গলাচিপায় অপহরণের প্রায় দুই মাস পর অপহৃত স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা রাণীকে উদ্ধার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। সোমবার বেলা একটার দিকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে গলাচিপা আরামবাগ নার্সারী রোড এলাকার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত অহিদুলের মামা আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পূর্ণিমা রাণীর ২২ ধারায় জবানবন্দীর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয় অপহৃত কিশোরীর মা শেফালী রাণী অভিযুক্ত সকল আসামীদের বিচার দাবী করছেন।

পুলিশ ও অপহৃত কিশোরীরর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার বাদুরা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। কিশোরোটি বাদুরা হাটে মাসি অঞ্জু রাণীর বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় পূর্ণিমার এক ছোট বোনকে নিয়ে বাদুরা হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আসমা বেগমের বাদুরা বাজারের বাসা থেকে আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মাসি বাড়ি যাচ্ছিল।

স্থানীয় ডেকারেটর ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বখাটে ছেলে মোটরসাইকেল ড্রাইভার অহিদুল ইসলাম (২১) তার সঙ্গীদের সহায়তায় ওই কিশোরীকে পথ থেকে তুলে অপহরণ করে এক মাস ঢাকা, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।

সোমবার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গলাচিপা পৌর এলাকার আরামবাগ এলাকার নার্সারী রোড থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে সনাক্তের জন্য বাবা মাকে খবর দেয়। এদিকে অপহরণের সাথে জড়িতরা বিজ্ঞ হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত আছেন বলে পুলিশ জানায়।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের পর তার বাবা-মা মেয়েকে শনাক্ত করেছেন। এখন ২২ ধারায় জবানবন্দীর প্রস্তুতি চলছে। এরপর বয়স শনাক্তসহ মেডিকেল পরীক্ষার করার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। এরপরেও অপহরণের সাথে জড়িত আসামীদের শনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।