পটুয়াখালীতে ডিজিটাল ভূমি জরিপের উদ্বোধন

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলো ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম। যার নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ বা বিডিএস। পটুয়াখালী জেলা সদরের ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি মৌজায় এই জরিপ করা হবে। এটি সফল হলে এই জরিপকে বেস লাইন ধরে সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করবে ভূমি মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী ডিসি স্কয়ারে আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

 

১৮৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে শুরু হয় প্রথম ভূমি জরিপ যার নামকরণ করা হয় ‘সিএস’ জরিপ। এটি শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায়। এর পর বিভিন্ন ধাপে ধাপে ‘আরএস’, ‘এসএ’, ‘পিএস’ এবং সর্বশেষ ‘বিএস’ জরিপ সম্পন্ন হয়। তবে এর পরও ভূমির জটিলতা কাটেনি।

আর তাই এবার ড্রোন ও ফোর জেনারেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমান সরকার শুরু করছে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ বা বিডিএস। এটি সফল হলে আগামী ১০০ বছরের জন্য আর কোনো ভূমি জরিপের প্রয়োজন হবে না। তাই পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বুধবার আনুষ্ঠানিক এই জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আগে ভূমি জরিপ নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভিন্ন ধারণা ছিল। প্রবাদ ছিল, ‘যেই জায়গায় হয় জরিপ, সেখানের মানুষ হয় গরিব’। কিন্তু এই পরিস্থিতির এখন পরিবর্তন ঘটেছে। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই জরিপ সম্পন্ন করা হবে।

এতে করে আগামী ১০০ বছরের জন্য আর কোনো জরিপের প্রয়োজন হবে না। যা আমাদের আগামী প্রজন্ম ভোগ করতে পারবে। এই প্রকল্পটি সফল হলে এটাকে রেপ্লিকা ধরে সারাদেশে বিডিএস সম্পন্ন করা হবে। ফলে সাধারণ মানুষ যেমন উপকৃত হবে তেমনি প্রকল্পটি ভূমি ব্যবস্থাপনায়ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইটবাড়িয়া মৌজার ৪৯১ একর জমির জরিপ সম্পন্ন করা হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন করছে। এ বাবদ সরকারের ১ হাজার ২১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

পটুয়াখালী ডিসি স্কয়ারে এই জরিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহম্মদ শহীদুল্লাহ। এছাড়া জেলার রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন।