পটুয়াখালীতে ‘জয় বাংলা’ না বলায় তোপের মুখে ইউএনও

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস এর বিরুদ্ধে  আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ইউএনও তানিয়া আফরোজ।
 জানা গেছে, গতকাল  মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে “জয় বাংলা” শ্লোগান না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক মো. আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, থানার ওসি তদন্ত মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাজিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জের পরিচালক মির্জাগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,  পটুয়াখালী জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার তাদের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেন। কিন্তু  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একবারও জয় বাংলা উচ্চারণ করেননি এবং জয় বাংলা না বলেই বক্তব্য শেষ করেন।
এতে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সরকারি প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর কারণে তার দায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপস্থিত আনসার সদস্যদের  মধ্যে।
অভিযোগের বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস  সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে আমি জয় বাংলা বলিনি এটা সত্য। তবে অনেকে জয় বাংলা বলেনি, আমারটাই মনে রাখলো!
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত সরকারি গেজেটে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে। প্রজ্ঞাপনের ‘খ’ নম্বরে বলা হয় ‘সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ, দেশে ও দেশের কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান উচ্চারণ করিবেন।
আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago