পঞ্চায়েতের প্যাঁচে ২ মন্ত্রী, পদত্যাগ করালেন মমতা

:
: ৬ years ago

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া স্থানীয় সরকার বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু আদিবাসী-অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার এবং ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের পরাজয় হয়। এই পরাজয়ই এখন মানতে পারছে না শাসক দল। বিশেষ করে বিজেপির উত্থানকে মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দুই এলাকার দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন।

ওই দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন মমতাকে। মমতাও গতকাল মঙ্গলবার রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ওই দুই মন্ত্রী ‘দলের কাজে আরও বেশি সময় দেওয়ার কারণে’ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগী এই মন্ত্রী দুজন হলেন আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী জেমস কুজুর এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত। পদত্যাগ করেছেন আরেক মন্ত্রী অবনিমোহন জোয়ারদার। তিনি অবশ্য শারীরিক অসুস্থার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।

২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন জেমস কুজুর এবং ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর আসন থেকে জয়ী হন চূড়ামণি মাহাত। জয়ের পর এই দুই নেতাকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হয়। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুই মন্ত্রীর আদিবাসী এলাকায় ফল খারাপ করে তৃণমূল।

এবার আলিপুরদুয়ারে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পায় ৫৪৮টি আর বিজেপি পায় ৩০৮টি আসন। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে তৃণমূল পায় ৩৭৩টি আসন আর বিজেপি পায় ৩২৮টি আসন।

যেখানে সর্বত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে জিতেছে তৃণমূল, সেখানে ওই দুটি জেলায় বিজেপির ব্যাপক উত্থানকে মেনে নিতে পারেনি শাসক দল তৃণমূল। ফলে শাসক দল দায়ী করে ওই দুই মন্ত্রীকে। এ কারণেই এই দুই মন্ত্রীকে অপসারণ করেন মমতা। তবে নদীয়ার মন্ত্রী অবনিমোহন জোয়াদারকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে।

এই ঘোষণার পর পদত্যাগী মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এবার মাঠে নেমে চাষাবাদ করব।’