ছাত্রী হোস্টেলের সিনিয়র ছাত্রীদের প্রথম দফার র্যাগিংয়ের ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে দ্বিতীয় দফায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে এনিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। ঘটনাটি বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজী (আইএইচটি)’র ছাত্রী হোস্টেলের।
সূত্রমতে, হোস্টেলের সিনিয়র ছাত্রীদের র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করে ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক নামের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে পোস্ট করেছিলো ফিজিওথেরাপী অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আমেনা আক্তার। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলের সিনিয়র ছাত্রীরা আমেনা আক্তারকে মারধর করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে অভিমান করে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেস্টা করে। মুমূর্ষ অবস্থায় অন্যান্য ছাত্রীরা তাকে (আমেনা) উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যান্য ছাত্রীরা জানান, বিষয়টি ধামাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য র্যাগিংয়ের সাথে জড়িত সিনিয়র ছাত্রীর আমেনা আক্তারের বিরুদ্ধে পুরো ক্যাপাসে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দেয়। এমনকি আমেনাকে মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অপর এক ছাত্রীকে পুরো ঘটনার মুখ বন্ধ রাখার জন্য শনিবার রাতে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়েছে র্যাগিংকারী ছাত্রীরা। দ্বিতীয় দফায় র্যাগিংয়ের ঘটনাটি প্রথমে ধামাচাঁপা দেয়া হলেও সোমবার সকালে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইএইচটির অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রির্পোট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।