নৌ রুটের নাব্যতা ফেরাতে দক্ষিণাঞ্চলের নদী খননের উদ্যোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল-ঢাকা নৌপথসহ অভ্যন্তরীণ রুট গুলোর নাব্যতা ফেরাতে খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বরিশাল নৌ বন্দর, পটুয়াখালী নৌ বন্দর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া, মিয়ারচর, পাতারহাটসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি রুটে এই খনন কাজ শুরু হবে। তবে ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় খনন কাজ শুরু হলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে তা আপাতত বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর বরিশাল নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএ’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় একথা জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মতবিনিময় সভায় তারা বলেন, শুকনো মৌসুম আসলেই নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে করে প্রায় নৌরুটে লঞ্চ আটকা পড়ে। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিআইডব্লিউটিএর নৌপথ সংরক্ষনের আওতায় এই রুট গুলোতে খনন কাজ শুরু হবে।

কর্মকর্তারা আরও বলেন, প্রতিবছর বরিশাল নৌ বন্দরে খনন কাজ করার সময় কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। দিনের বেলায় নৌবন্দরের পন্টুনে লঞ্চ গুলো পাকিং করা থাকায় ওই স্থানটিতে খনন কাজ করা যায়না। ফলে রাতে খনন কাজ করতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও নদী খননের পরে বালিমাটি ডাম্পিং করারও কোন জায়গা না থাকায়, খনন করে আবার তা নদীতেই ফেলতে হচ্ছে। এতে প্রতিবছরই পুনরায় খনন কাজ করতে হয়।

তারা বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা-পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌ রুটে চলাচলকারী লঞ্চের মাস্টার আবেদন দিয়েছে। যে ওই রুটে বেশ কিছু পয়েন্টে পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে তারা লঞ্চ চালাতে পারছে না। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা নদীর মোহনাসহ আশে পাশের পয়েন্টে খনন কাজ করতে গেলে স্থানীয়রা সেই কাজে বাঁধা দেয়। এমনকি বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ সোহেলসহ আরও বেশ কয়েকজনের নামে ফৌজদারি মামলাও করে। ফলে বর্তমানে ওই স্থানের খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।

সভায় বরিশাল নৌ বন্দরে দিনের বেলায় খনন করা বিষয়ে সহায়তা করার জন্য লঞ্চ মালিকদের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি নদী ছাড়া অন্য কোন জায়গায় পলিমাটি ডাম্পিং করার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের কর্মকর্তারা।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি ছাড়াও বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার এবং বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।