রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দলমত-নির্বিশেষে সবাই যে আশা বা প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের মাধ্যমে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করা হবে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর লক্ষ্মীপুর ভেড়িপাড়া মোড়ে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
লিটন বলেন, গত ৫ বছরে রাজশাহী পিছিয়ে গেল। সড়কের গাছের বাতি বন্ধ হলো। চারদিকে ময়লা-আবর্জনা। কোনো উন্নয়ন হলো না। যে মেয়র ঈদের আগে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের বেতন দেয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ান, তিনি নগরীর ৮ লাখ মানুষের কল্যাণ করবেন কীভাবে? আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাই না। নৌকায় ভোট দিলে এক লাখ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে, আবেদন করেও যারা বাসাবাড়িতে গ্যাস পাননি, তাদের ঘরে ঘরে গ্যাস যাবে, নতুন নতুন স্কুল-কলেজ হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হলে এতদিন অনেক কাজ হয়ে যেত। কিন্তু গত ৫ বছর সময় নষ্ট হয়ে গেল। আর সময় নষ্ট করা যাবে না।
ভেড়িপাড়া মোড়ে পথসভা শেষে ওই এলাকায় গণসংযোগ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর রাজপাড়া, মহিষবাথান, টুলটুলিপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দুপুরে প্রকৌশলীদের এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট রাজশাহী কেন্দ্রে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন- রাজশাহী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একটানা ১০ বছর সময় পেলে রাজশাহীর চেহারাই পাল্টে যেত। এখানে উপস্থিত অনেক প্রকৌশলী নিয়ে অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি। আগামীতে সময় পেলে আর ৫০ বা ১০০ কোটি টাকা নয়, ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রকল্প এনে উন্নয়ন করা কেবল আমার পক্ষেই করা সম্ভব।