নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকা প্রতীকের একাধিক বিজয়ী প্রার্থীসহ ৬১ জন প্রার্থী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই, রাজশাহী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান, জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, ঠাঁকুরগাঁও-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আসলাম, নেত্রকোনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা (ঝুমা তালুকদার), মাগুরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুরাদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০০টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইসি।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ এর ৯১-এ এর ক্ষমতাবলে— আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুসন্ধান করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকাগুলোর জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো।