৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
পারিবারিক কলহের জের ধরে ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিহত গৃহবধূ মোহাম্মদপুর গ্রামের গোলাম আলীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস পেরু (২৫)। তিনি ২ সন্তানের জননী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পেরণ করে।
জানা যায়, চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হাসর গ্রামের আবু তাহের মুন্সির সৌদি প্রবাসী ছেলে তোফায়েল আহমেদ খোকনের সাথে ৮ বছর আগে একই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মোঃ গোলাম আলীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস পেরুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ফারিয়া (৭) ও আরিয়ান (৪) নামের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। নিহতের ভাই মকবুল আহমেদ জানান, গত মাস খানেক আগে সৌদি থেকে খোকন বাড়ি আসেন। খোকন সৌদি থেকে জমি কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠান। স্ত্রী পেরু ওই টাকা দিয়ে স্বামীর নামে জমি কেনেন। জমির ক্রয়মূল্য বেশি হয়েছে এবং টাকা পয়সা পরিচালনায় গড়মিলের অপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে গালমন্দ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরবর্তীতে তা নৈমিত্তিক ঝগড়ায় রূপ নেয়।
ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় স্ত্রী পেরুকে পিটিয়ে অচেতন করে খোকন। রাত আনুমানিক ২ টার সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। সকাল ১০টার সময় ঘরের লোকজনের সাড়া শব্দ না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ঘরের দরজার বাইরে থেকে তালা দেখে চাটখিল থানা পুলিশে খবর দেয়। চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পিতা বলেন, আমার মেয়েকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ পালিয়ে গেছে তোফায়েল আহমেদ। তিনি তার গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানান।
চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বামীর পরিবারের দাবি পেরু আত্মহত্যা করেছে।
