নোয়াখালীতে চুরি হওয়া সেই শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ১

:
: ৩ years ago

নোয়াখালীর চাটখিলে চুরি হওয়া সেই শিশু মরিয়মকে (২) সাতদিন পর লক্ষ্মীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় শিশু চুরির দায়ে মুন্নি আক্তার (২৩) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বেগমগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৮নং উছাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউগঞ্জ এলাকা থেকে প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও আসামি মুন্নি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। মুন্নি ঝাউগঞ্জের মো. কামাল হোসেনের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর থানার চাদখালী গ্রামের আজিজ সরদার বাড়ির মো. রাকিব হোসেন স্ত্রী রোমানা বেগম (২২), ছেলে রূপক (৪) ও মেয়ে মরিয়মকে (২) নিয়ে চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খোরশেদ আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রাকিব রিকশা চালিয়ে এবং স্ত্রী রোমানা বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

গত ১৯ অক্টোবর সকালে রোমানা তার দুই বছরের শিশু মরিয়মকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মুন্নি আক্তারের কাছে রেখে কাজে যান। এই সুযোগে মুন্নি ওই শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাসায় এসে মেয়েকে না পেয়ে ২০ অক্টোবর চাটখিল থানায় অপহরণের মামলা করেন রোমানা বেগম।

পুলিশ সুপার বলেন, মামলাটির কোনো ক্লু ছিল না। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর প্রযুক্তির সহায়তায় সাতদিনের মাথায় শিশু মরিয়মকে আসামির বাবার বাড়িতে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মা-বাবার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসামি মুন্নি আক্তারকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন।

থানায় উপস্থিত শিশু মরিয়মের বাবা-মা আদরের সন্তানকে ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানান।

শিশুটির মা রোমানা বলেন, আমার সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি, আর কিছু চাই না। ভবিষ্যতে এভাবে কারো কাছে সন্তান রেখে যাবেন না বলেও জানান তিনি।

রাকিব হোসেন মেয়েকে ফিরে পেয়ে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।