উচ্চ শিক্ষার বিকাশে নেত্রকোনা জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সংসদে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভপতিত্বে রবিবার বিলটি সংসদে স্থিরিকৃত আকারে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে বিলের ওপর আনীত ৩টি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও অপর সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হবেন। চার বছরের জন্য একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ হবেন। তবে দুই মেয়াদের বেশী তিনি নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থাকবে। মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন ক্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা, মানবিক, সমাজ বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নতুন নতুন শাখার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান, গবেষণার ব্যবস্থা থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ গোত্র ও শ্রেণি-কারো প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য নিজস্ব ছাত্রবাস থাকবে। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার, হস্তান্তর করার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিপক্ষে মামলা করার অধিকার থাকবে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গঠন এবং কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, অনুষদ গঠন ও এর দায়িত্ব-কর্তব্য, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিভাগ গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল, অর্থ কমিটি গঠন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম, ভর্তি, পরীক্ষা, পরীক্ষা পদ্ধতি, চাকরির শর্তাবলী, সংবিধি প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি-প্রবিধি প্রণয়ন, বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাবসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের নিমিত্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে নেত্রকোণা জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে আলোকে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন ২০১৭ বিলটি সংসদে উপস্থাপিত হলো।