নেতাভিত্তিক রাজনীতি পরিহার করে সংগঠনে নেতৃত্বের সৃষ্টি করতে হবে : মেয়র সাদিক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, নেতাভিত্তিক রাজনীতি পরিহার করে সংগঠনে নেতৃত্বের সৃষ্টি করতে হবে। দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে বরিশালে একটি স্বচ্ছ রাজনীতি উপহার দিতে হবে।

রবিবার বিকেল ৪টায় নগরীর কালীবাড়ী রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দেয়া বক্তব্যে এসকল কথা বলেন।

টেগর শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, শুদ্ধিকরন অভিযানে সহযোগিতার পাশাপাশি আমাদের অনুধাবন করতে হবে আমরা রাজত্ব করতে না রাজনীতি করতে এসেছি, জনগনের সেবা করতে এসেছি।

তিনি বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করলে তার দায়ভার সংগঠনের উপরই বর্তায়। তার কারো অপকর্মের কোন দায় নেয়া হবেনা। জননেত্রী রাতদিন পরিশ্রম করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, গুটিকয়েকের কারনে তাঁর সেই অর্জন বিনষ্ঠ হবে তা হতে দেবোনা। আমাদের সকল নেতাকর্মীদের কাজ হবে নেত্রীর ভালো কাজ গুলোকে বেশী বেশী প্রচার করা।

মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। এই দল ক্যান্টেনমেন্ট থেতে তৈরী হয়নি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই এসংগঠনের নেতাকর্মীদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সর্তক থেকে মানুষের ভালবাসা পেতে কাজ করতে হবে।

অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সর্তক থাকতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, অন্য দল থেকে আসা কাউকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক করা হবেনা। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। যারা সংগঠনের সাথে বেইমানী করতে পারে, নৌকার সাথে বেইমানী করতে পারে তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগের লোক না। তারা সংগঠনের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারেনা। যারা নৌকাকে ভালবাসবেনা তাদের বরিশাল আওয়ামী লীগে দরকার নেই। জননেত্রীর শ্রম, অগনিত কর্শীর শ্রম ম্লান হতে দেবোনা। দূর্নীতি, মাদক, অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াবো। রাজনীতিবিদ ও সংবাদকর্মীদের একে অন্যের পরিপূরক আখ্যায়িত করে মেয়র বলেণ, তারা উভয়েই যার যার জায়গা থেকে জনগনের কথা বলে।

সকল ক্ষেত্রে শুদ্ধি অভিযানের উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র সাদিক বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছতার জায়গা তৈরী হোক, ভবিষ্যত প্রজন্মের বাসযোগ্য একটি সুন্দর দেশ উপহার পাক। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমরা যদি যে যার জায়গা থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। আমাদের কথার সাথে কাজের মিল থাকতে হবে। আমি ছলচাতুরি বুঝিনা। মিথ্যার চর্চা করিনা। মনেপ্রানে যা বিশ্বাস করি তাই করার চেষ্ঠা করি।

মেয়র আরো বলেন, সুস্থধারার রাজনীতি করে মানুষের সেবা করতে চাই। আগামীতেও মানুষের সমস্যার কথা শুনতে, তাদের জন্য কাজ করতে আমি সকলের কাছে যাবো। ভোট চাইতে নয়। আমি যদি কাজ করি তাহলে জনগন তার মূল্যায়ন করবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আমিনুল ইসলাম তোতা, অ্যাড. আফজালুল করিম, সাইদুর রহমান রিন্টু, নিজামুল ইসলাম নিজাম, কেবিএস আহমেদ কবির, অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর, রেজাউল হক হারুন,গাজী নঈমুল হোসেন লিটুসহ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত বিসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।