ইসলাম শান্তির ধর্ম আর শান্তির মিশন নিয়ে ছারছিনা দরবার শরীফের কার্যক্রম সুকৌশলে এগিয়ে চলছে আপন মহিমায়। আর হ্যা আমরাও বলছিলাম বরিশাল বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে অন্যতম ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছারছিনা দরবার শরীফের কথা।
প্রয়াত দাদা হুজুরের আর্শীবাদ নিয়ে আজ স্বরূপকাঠি সহ জেলা এবং সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে সুপরিচিত পেয়েছে আপন মহিমায়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সহ সমগ্র মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে একটা বিশাল পরিচিতি। তবে এবারের মাহফিলে মুসল্লীদের আনাগোনা বিগত সময়ের চেয়ে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে গত দুই দিনের আলোচনায় ছারছিনা দরবার শরীফের মাহফিলে বিভিন্ন বক্তরা বক্তব্য তুলে ধরেন। দরবারের বহু শীর্ষ মাওলানারা মাহফিলের মধ্যে বলেন, আমরা মহান আল্লাহর বান্দা।
একজন নেককার বান্দা হবার জন্য সব সময় আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করতে হবে। আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি শুধু নামাজ,রোজা,হজ্জ ু যাকাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলামের বিধান বাস্তবায়ন করাই হল প্রকৃত ইবাদত বন্দেগি। এদিকে আখেরী মোনাজাত শুরুর আগে আরও বহু মাওলানা চমৎকার ও সময় উপযোগী সঠিক তথ্য তুলে ধরেন দেশী বিদেশি সন্মানিত মেহমানদের জন্য ।
এবারের মাহফিলের আয়োজন ছিল চমৎকার। শেষ৷ দিনে এবং শেষ সময়ে বিভিন্ন বক্তরা বলেন, মাওলানা নেছার উদ্দিন আহমেদ ( রহঃ) ফুরফুরা শরীফ হতে তরীকা ও তাসাউফে কামালিয়াত অর্জন করার পর খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে এই ছারছিনা দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন।
দাদা হুজুরের পরশ ছোঁয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ হিন্দুয়ানী কৃষ্টি কালচারের বেড়াজাল ছিন্ন করে ইসলামি জিন্দেগিতে জীবন যাপনের প্রয়াস পান।তরীকা ও তাসাউফ মশক করে আল্লাহর পেয়ারা বান্দা ও খাস ওলীতে পরিনত হন।
১৩১ তম তিনদিন ব্যাপী ইসালে ছওয়াব মাহফিলের আজ শেষ দিন ও আখেরী মোনাজাত। করোনার কঠিন দুঃসময়ে গত বছরের দুঃসহ স্মৃতি মনে রেখে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সহ সকল মুসল্লীরা বেশ সতর্ক। সর্বপরি এবারের মাহফিলের আয়োজন ছিল পরিপাটি পরিবেশ বজায় রেখে দায়িত্ব সম্পন্ন করেন মাহফিলের আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।