ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ মিশনের স্বপ্নসারথী তিনি। অথচ সেই নেইমারই কিনা প্রথম দুটি যা খেললেন তাতে করে অনেকে তো আগ বাড়িয়ে বলেই ফেলে, এই ব্রাজিলকে দিয়ে কিছু হবে না। তবে সমালোচকদের বুড়ো আঙুল দেখাতে মোটেও সময় নেন নি নেইমার। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেইমার ঝলক দেখা গিয়েছিল, দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলেন তিনি। নিজে তো গোল করেছেনই, ফিরমিনোকে দিয়ে গোলও করিয়েছেন।
এনিয়ে বিশ্বকাপে মোট নয়টি ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। তাতে ছয়টি গোল করেছেন আর দুটি করিয়েছেন। যার অর্থ নেইমার খেলেছেন এমন প্রায় সব ম্যাচেই গোল পেয়েছে ব্রাজিল। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুটি গোল করেছেন নেইমার।
মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন নেইমার। প্রথমার্ধে মেক্সিকোর জালে বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতিপক্রে রক্ষণভাগ লণ্ডভণ্ড করে দেন নেইমার। তাতেই অবশ্য ম্যাচটা ঘুরে যায় ব্রাজিলের দিকে। এরপর খেলার একেবারে শেষ মূহূর্তে মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যান তিনি। গোলটাও হয়তো করতে পারতেন। তবে ঝুঁকি নেননি। গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে ফিরমিনোকে আলতো করে বলটা এগিয়ে দেন। দেখেশুনে সময় নিয়ে গোল করেন ফিরমিনো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮৯ মিনিটে এখন পর্যন্ত ৫৭ গোল করেছেন নেইমার। গোল সংখ্যায় তার চেয়ে এগিয়ে কেবল পেলে ও রোনালদো। ৯২ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭৭ গোল করেন ফুটবল সম্রাট পেলে আর দ্য ফেনোমেনন খ্যাত রোনালদো ৯৮ ম্যাচে করেন ৬২ গোল। নেইমার যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে রোনালদো তো বটেই পেলেকে হটিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সবোর্চ্চ গোলদাতা হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।