নেইমার একাই ব্রাজিল দলের ৫০ ভাগ’

:
: ৬ years ago

নাম তার দাদা মারাভিলহা। নেইমারদের দাদাও বলা চলে। বয়স যে হয়ে গেছে ৭২ বছর। ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার তিনি। ব্রাজিলের ১৯৭০ সালের ওই দলটাকে এখনো বিশ্বসেরা দল বলা হয়। ব্রাজিলের দাদা এবং নেইমারদের দাদা ব্রাজিলের খেলা দেখতে রাশিয়া যাবেন। আর ব্রাজিলের চলমান ইতিহাস বিশ্বকাপে নেইমারের ওপরেই ভরসা রাখছেন। তার ইনজুরির কারণে কিছুটা ভয়ও পাচ্ছেন বটে। তবে ব্রাজিলের নাম্বার টেনের প্রস্তুতি দেখে তিনি খুশি।

এছাড়া দাদা ব্রাজিল কোচের কাজ নিয়েও খুশি। তিনি বলেন, ‘আমাকে অবশ্যই বলতে হবে যে, আমি খুব উচ্ছ্বসিত। প্রথমত তিতের জন্য। খুব নিরহঙ্কার মানুষ তিনি। ব্রাজিল দল নিয়ে তিনি গারসনের (১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার) সঙ্গে কথা বলেছেন। তার সঙ্গে কথা বলা আর দানবের সঙ্গে কথা বলা অনেকটা এক।

কথা বলেছেন ব্রাজিলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ জাগালোর (১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী কোচ, ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সহকারী কোচ, ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের কেয়ারটেকার) সঙ্গে। জাগালো নেইমারদের দুটি অনুশীলনের সময় মাঠে দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখেন। আমি এটাকে প্রশংসা না করে পারি না।’

দাদা ভালোই বোঝেন গোল করার জন্য নাম্বার নাইনের গুরুত্ব কতটা। তিনিও যে স্টাইকার ছিলেন। আর তিনি মনে করছেন ব্রাজিলের জার্সি পরে গ্যাবিয়েল জেসুসই কোচের প্রথম পছন্দ হবেন। তবে দাদা তার আরেক ‘নাতি’ রর্বাতো মিরমিনোতেও দারুণ খুশি। তিনি বলেন, ‘দু’জনেই দারুণ। তবে এখন নয় নম্বর জার্সিটা জেসুসের প্রাপ্য। তবে ফিরমিনো সুযোগ পেলেই ব্রাজিলকে জয় এনে দিতে অবদান রাখবে। তারা দু’জনেই জালে বল জড়াতে পারে।’

তবে আর দশজনের মতো দাদা মারাভিলাহও মনে করেন, ব্রাজিলের মূল খেলোয়াড় নেইমার। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার আছেন তিনি। তাকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার টোসটাওয়ের মতো খেলার পরামর্শ দেন দাদা। টোসটাও ছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। নেইমারকে তিনি আক্রমণে এসে দ্রুত অন্যদের প্রতি বল ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকটা টোসটাওয়ের মতো যাতে ডিফেন্ডাররা তাকে ট্যাকল করতে না পারে।

দাদ বলেন, ‘আমি তাকে অনুশীলনে দেখেছি। তার বল নিয়ে অনুশীলন দেখা দারুণ উত্তেজনার ব্যাপার। সে একাই ব্রাজিল দলের ৫০ ভাগ। তবে আমি সামান্য ভীত। কারণ তার পায়ের পাতায় ইনজুরি। সেখানে কেউ আঘাত করলেই আবার ইনজুরিতে পড়তে পারেন নেইমার।’

আর তাই নেইমারকে দাদার পরামর্শ, ‘আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নিয়ে দ্রুত উপরে উঠে যাও। সতীর্থদের বল ছেড়ে দাও। টোসটাওয়ের মতো খেলো। সে ছিল দারুণ। কারণ কেউ তাকে ট্যাকল করে বল নেওয়ার জন্য তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারতো না। তার আগেই অন্যকে বল ছেড়ে দিতো সে।’