ফ্রান্সের স্টেডে পিয়েরে মাউরয়। লিলের কাছে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটিতে স্বাগতিক ফ্রান্স ছিল না। মুখোমুখি দুই দল লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়া মহাদেশের। একটি ব্রাজিল। আরেকটি এশিয়ার ব্রাজিলখ্যাত জাপান।
আসল ব্রাজিলের সামনে এই প্রীতি ম্যাচে দাঁড়াতেই পারল না এশিয়ার ‘ব্রাজিল’। নেইমারদের সামনে বলতে গেলে উড়েই গেলো জাপানিরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জাপানকে হারিয়েছে নেইমারের দল।
এই ম্যাচে একটি গোল করেছেন নেইমার। আরেকটি গোল মিস করেছেন তিনি। না হয় ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে বাকি দুই গোল করেছেন মার্সেলো এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুস। জাপানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন তোমোয়াকি মাকিনো।
ম্যাচের ১০ম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন পিএজির স্ট্রাইকার নেইমার। বক্সের মধ্যে ফার্নান্দিনহোকে জাপানের গোল রক্ষক ফিজি কাওয়াসিমা বাজেভাবে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজায়।
এরপর খেলার ১৭ মিনিটে আরও একবার পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। বক্সের মধ্যে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে ফাউল করেন হোতারু ইয়ামাগুশি। তবে নেইমারের নেয়া পেনাল্টি শট তখন ঠেকিয়ে দেন কাওয়াশিমা।
নেইমারের পেনাল্টি মিস করলেও ওই মিনিটেই আবার গোল হজম করে বসে জাপান। কারণ মুহূর্ত পরই কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ শটে জাপানের জালে বল জড়িয়ে দেন মার্সেলো।
প্রথমার্ধেই ব্রাজিলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ডান পাশে দানিলোর কাছ থেকে বল পান উইলিয়ান। তিনি বল এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে। ম্যানসিটির এই স্ট্রাইকার অসাধারণ শটে বল জড়িয়ে দেন জাপানের জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে ব্রাজিল কোচ তিতে অনেকগুলো খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন। যে কারণে এই অর্ধে জাপানই ভালো খেলা উপহার দেয় এবং একটি গোলও আদায় করে নেয়। খেলার ৬৩ মিনিটে দারুণ এক হেডে ব্রাজিল গোল রক্ষক ক্যাসিওকে পরাস্ত করেন তোমোয়াকি মাকিনো।
আগামী সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে খেলতে নামবে ব্রাজিল। আর জাপান সফর করতে যাবে বেলজিয়ামে।