নাটনের পর নাটকীয়তা। এর চেয়েও যেন বেশি কিছু। সব নাটকীয়তাকে হার মানিয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার পাড়ি জমালেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। ট্রান্সফারের বিশ্বরেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ২ হাজার ১১৯ কোটি টাকা) বিনিময়ে তিনি নাম লেখাতে গিয়েছিলেন পিএসজিতে। বার্সেলোনাও অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তারা বাই আউট ক্লজ পেলে তাকে ছেড়ে দিতে রাজি।
সে মতে নেইমার বার্সা থেকে বিদায় নিয়ে চলেও এসেছিলেন। কিন্তু নাটকের শেষাংশে যে নাটকীয়তা জমে থাকে- এটা যেন তেমনই। নেইমারকে বার্সেলোনা ছেড়ে দিলেও ছাড়তে রাজি নয় লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তারা আগেই জানিয়েছিল, নেইমারের ট্রান্সফারের মূল্যের বিষয়ে নিয়ম-নীতির কোনো ছাড় দেবে না। লড়াই ছালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেবাস।
যেমন কথা তেমন কাজ। নেইমারের পিএসজিতে যাওয়া আটকে দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। নেইমারের আইনজীবি হুয়ান দে দিওস ক্রেসপো আজ নেইমারের রিলিজ ক্লজের ২২২ মিলিয়ন ইউরোর চেক জমা দিতে এসেছিলেন লা লিগা দপ্তরে। কিন্তু লা লিগা সে অর্থ গ্রহণ করেনি। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, পিএসজির হয়ে খেলোয়াড়ের আইনজীবী যে অর্থ জমা দিতে এসেছিলেন সেটি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।। আপাতত এই তথ্য ছাড়া আমাদের আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’
রিলিজ ক্লজের এই চেকে প্রায় বছর খানেক আগে স্বাক্ষর করেছিলেন নেইমার। স্বাক্ষরিত চুক্তির মেয়াদ চার বছর। শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালে। নেইমার ক্রেসপো নামের এমন একজন আইনজীবীকে নিয়ে কাজ করছিলেন, যিনি সম্প্রতি বেশ কিছু হাই প্রোফাইল কেসে ডিল করেছেন। সম্প্রতি তিনি মেসির একটি মামলায় লড়াই করেন, যে মামলাটি ছিল ফিফায়। রেফারির অভিযোগের ভিত্তিতে ফিফা মেসিকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। ক্রেসপো সেই শাস্তিকে বাতিল করাতে সক্ষম হয়েছেন।
লা লিগার বাধার কারণে এখন নেইমারের ট্রান্সফার পড়ে গেছে মহা অনিশ্চয়তায়। বার্সা ছাড়তে চাইলেও লা লিগা তাকে কোনোভাবে ছাড়তে নারাজ। তারা আইনি মারপ্যাঁপে ফেলে তাকে আটকে দিতে চায়। লা লিগার বক্তব্য হলো, নেইমারর ২২২ মিলিয়ন ইউরো বাই আউট ক্লজ দিয়ে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে গেলে সেটা উয়েফার ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নীতির সুস্পষ্ট পরিপন্থি।
ক্লাবগুলোর আর্থিক সক্ষমতার এই নীতি অনুযায়ী টানা তিন মৌসুমে কোনো ক্লাব ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ক্ষতি দেখাতে পারবে না। নেইমারের এই দলবদলে বার্সেলোনাকে ২২২ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করা ছাড়াও বোনাসের হিসাব আছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচে নিশ্চিত করেই ক্ষতির মুখে পড়বে পিএসজি। লা লিগা প্রেসিডেন্ট তেবাসের চোখে, এমন অবস্থায় নেইমারকে কেনার অর্থ জোগাড় করার মানে পিএসজি ‘আর্থিক ডোপিং’ করছে! সুতরাং, আর্থিক কোনো নিয়ম-নীতি লঙ্ঘণ হতে তারা দেবে না।
তাহলে কী করবেন নেইমার? তাদের সামনে এখন একটাই পথ খোলা, ফিফার দ্বারস্থ হওয়া। ফিফার পক্ষ থেকে যদি প্রাথমিকভাবেও এই বিপুল পরিমাণে অর্থের বিনিময়ে ট্রান্সফারের একটা প্রাথমিক অনুমতি আনা যায়, তাহলে নেইমার এই সপ্তাহেই লিগা ওয়ানের প্রথম ম্যাচে পিএসজির হয়ে মাঠে নামতে পারবেন।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com