নিহতের স্ত্রী আসামি করলেন চার জনকে, উকিল করলেন ২ হাজার

লেখক:
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক মো. শাহিন। তিনি ভাড়া থাকতেন যাত্রাবাড়ী থানাধীন চন্দনকোঠা বিদ্যুৎ গলির সরদার বাড়িতে। তার পৈত্রিক বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাবুদ্দিন বাড়ি। তার পিতা আবদুল মাজেদ পেশায় ভ্যানচালক। রোববার দুপুরে শাহিনের পৈত্রিক বাড়িতে কথা হয় শাহিনের স্ত্রী স্বপ্না ও পিতা আবদুল মাজেদের সঙ্গে। 

 

শাহিনের স্ত্রী স্বপ্না জানান, তার স্বামী পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ডিবির হারুন ও যে পুলিশ গুলি করেছে এ চার জনের নামে মামলা করতে গেলে উকিল মামলা কম্পিউটার টাইপ করে তার স্বাক্ষর নেন। পরে তিনি জানতে পারেন, উকিল তার অনুমতি ছাড়া অনেকের নামে মামলা দিয়েছেন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ। তিনি চান না কোনো নিরপরাধ লোক এই হত্যা মামলায় আসামি হোক।

একই বক্তব্য নিহত শাহিনের পিতা আবদুল মাজেদের। শাহিনের স্ত্রী জানান, তিনি ঢাকায় যাবেন চার জন বাদে অন্যদের নাম কাটাতে।

যাত্রাবাড়ী থানার এই মামলায় দেখা যায়, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের  ১৫০০-২০০০ জনের  নামে মামলা করা হয়েছে। শাহিনের স্ত্রী স্বপ্না এই মামলায় উকিলের নাম জানেন না। শুধু ফোন নাম্বার জানেন। স্বপ্নার দেওয়া উকিলের নাম্বারে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে কোর্টে ব্যস্ত আছি বলে কল কেটে দেন।

স্বপ্না জানান, তার জান্নাতুল ফেরদৌস নামে চার বছরের একটি মেয়ে ও সাত মাস বয়সি মো. জুনায়েদ আবদুল্লাহ নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তার ঘরবাড়ি, বসতভিটা কিছুই নেই। তার স্বামীর নিহত হওয়ার পর শুধু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা কিছুই পাননি। তিনি দুই সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকারসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।