নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কাগজে যা লিখেছিলেন সোলাইমানি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়া আগে অসাধারণ ও আধ্যাতিক কিছু কথা লিখে গেছেন ইরানি জেনারেল ও কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি।

নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার এসব কথা লিখে যান তিনি।

ইরানের অন্যতম সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সিরিয়ার দামেস্ক বিমানবন্দরে তার আবাসিক কক্ষ থেকে কাসেম সোলাইমানির হাতে লিখিত একটি কাগজ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার ইরাকের বাগদাদের উদ্দেশ্যে তার বিমান ছেড়ে যাওয়ার আগে দামেস্ক বিমানবন্দরে অবসর সময়ে আধ্যাত্মিক কথাগুলো লিখে যান সোলাইমানি। এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

ওই কাগজে মহান আল্লাহর নিকট তার প্রার্থনা লেখা ছিল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

জেনারেল সোলাইমানির আধ্যাত্মিক কথাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

‘‘হে আল্লাহ! আমাকে একা ছেড়ো না

হে আল্লাহ! আমাকে গ্রহণ করো

হে আল্লাহ! আমি তোমার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করি

সেই একই সাক্ষাৎ যা নবী মূসাকে (আঃ) দাঁড়াতে ও শ্বাস নিতে অক্ষম করেছিল

হে আল্লাহ! আমাকে গ্রহণ করো

সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রতি যিনি বিশ্বজগতের প্রভু

হে আল্লাহ! আমাকে বিশুদ্ধরূপে গ্রহণ করো।’

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার থেকে টার্গেট করা মার্কিন ড্রোন নিহত হন ইরানের এই প্রভাবশালী শীর্ষ জেনারেল। ওই হামলায় কাসেম সোলায়মানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ১০ জন নিহত হন। এদিকে কুদসপ্রধান সোলাইমানিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ইশ্বর তার পাশে আছেন বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে।

সোমাবার সোলাইমানির জানাজা উপলক্ষে রাজধানী তেহরানের সড়কগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এদিন ইরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুমার নামাজ চত্বরে তার জানাজা হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অশ্রুসিক্ত চোখে জানাজায় ইমামতি করেন।

সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি, টাইমস অব ইসরাইল