নিলুফার ছাগল খুঁজে দিল পুলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

পোষা ছাগলটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় নিলুফা ইয়াসমিনের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। সংসারের জিনিসপত্র কেনার স্বপ্নও ভেঙে কান্নাকাটি শুরে করে নিলুফা। অবশেষে সোমবার দুপুরে কলারোয়া থানা পুলিশ নিলুফার সেই ছাগলটি তুলে দেয় তার মায়ের হাতে। ছাগলটি পেয়ে এখন খুশির শেষ নেই অসহায় নিলুফা ও তার মা সকিনা বেগমের।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি এলাকার কাজেম সরদারের মেয়ে দিনমজুর নিলুফা ইয়াসমিন জানান, গত রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে হঠাৎই পোষা ছাগলটি নিখোঁজ হয়ে যায়। কোনো সন্ধানই মিলছিল না। অবশেষে জানতে পারি, স্থানীয় চৌকিদার ছাগলটি তালা থানায় জমা দিয়েছেন। থানাতে গিয়েও না পেয়ে পুনরায় ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদারের কাছে ফিরে আসি। তখন চৌকিদার সাহাবুদ্দিন বলে, ছাগলটি থানা পুলিশ বোনভোজন করে খেয়ে ফেলেছে। তুমি থানায় গেলে তোমাকে আরও জরিমানা দিতে হবে।
advertisement

তিনি আরও বলেন, রোববার কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি স্যার আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, আপনার ছাগলটি কলারোয়া থানায় রয়েছে এসে নিয়ে যান। পরবর্তীতে আমার মা সকিনা বেগম কলারোয়া থানায় গিয়ে ছাগলটি নিয়ে এসেছে। পুলিশ স্যারদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ছাগলটি খুঁজে দেওয়ার জন্য। এ ছাগলটি বিক্রি করে আমি সংসারের জিনিসপত্র কিনবো। ছাগলটি হারিয়ে যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম।

ঘটনার বিষয়ে তালা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, ওই নারী খুব অসহায়। আমি নিজেও তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছি। চোররা চুরি করে ছাগলটি কলারোয়া থানা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানকার পুলিশ ছাগলটি উদ্ধার করেছে। প্রচার হয়েছিল ছাগলটি তালা থানা পুলিশ বনভোজন করে খেয়ে ফেলেছে। যা সঠিক নয়। অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।

এদিকে, কলারোয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আমরা ছাগলটি উদ্ধার করি। এরপর পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে ম্যাসেজ দেয়া হয়। এরপর নিলুফার মা ৭৫ বছরের বৃদ্ধা সকিনা বেগম কলারোয়া থানায় এসে ছাগলটি জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরে করেন। তখনই আমরা বুঝতে পারি এই ছাগলটি তাদের।

তিনি আরও বলেন, বৃদ্ধা মহিলা সকিনা বেগমের ছাগলটি বহন করে তালায় যাওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর বৃদ্ধা সকিনার সঙ্গে এক চৌকিদারকে দিয়ে ছাগলটি তালার ইসলামকাটি বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল।