নির্বাচন কমিশনের তফসিল জামায়াতের প্রত্যাখ্যান

:
: ৮ মাস আগে

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফ‌সিল‌কে সরকার দলীয় নীল-নকশার তফসিল উল্লেখ ক‌রে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দল‌টির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই কথা ব‌লেন।

গণমাধ‌্যমে পাঠা‌নো বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আজ্ঞাবহ তফসিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এবং জুলুমবাজ বাকশালী সরকারের প্রতি জনগণের কোনও আস্থা নেই। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শাসক দলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। এমতাবস্থায় সরকারী দলকে খালি মাঠে গোল করার সুযোগ দিতেই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। ষড়যন্ত্রমূলক নীল-নকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মত শাসক দলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা একতরফার সাজানো নির্বাচন হতে দেবে না। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে। সকল দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত করে কমিশনকে নতুনভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে এবং নতুন তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

‘দেশের বিরোধীদলগুলোর মতামত অগ্রাহ্য করে তফসিল ঘোষণার ফল কারও জন্যই সুখকর হবে না এবং দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং দেশকে অস্থিতিশীল ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। সংলাপের পথ রুদ্ধ করবে। রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।’

৫৫ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

 

অব‌রোধ কর্মসূ‌চি‌তে দ‌লের ৫৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে অভি‌যোগ ক‌রেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। বিনা কারণে যখন-তখন বাসা-বাড়িতে হানা দিয়ে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জননিরাপত্তা ন্যক্কারজনকভাবে বিঘ্নিত করছে।

তি‌নি ব‌লেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর ৫৫ জন নেতাকর্মীকে সরকার বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে। ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা, শিল্পাঞ্চল, কাফরুল থানায় অবরোধের সমর্থনে মিছিলের প্রস্তুতিকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একযোগে হামলা চালিয়ে জামায়াতের ১৬ জন নেতাকর্মীকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। ১৪ নভেম্বর রাতে টঙ্গী থানার ৪৯ নং ওয়ার্ডের মজলিসে শূরার সদস্য কামারুজ্জামান খান মামুনের বাসাসহ মোট ১৩টি বাসায় এবং বেশ কয়েকটি দোকানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।