আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে দেশের সব ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে রোববার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একই নির্দেশনা দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণখেলাপির তথ্য সংগ্রহের এ নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে ঋণখেলাপিরা জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। এমন অবস্থায় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ব্যক্তিদের ঋণখেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সব তফসিলি ব্যাংক থেকে তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২৮ নভেম্বর বিকেল ৫টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে নেয়া তথ্য প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণখেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঋণখেলাপ সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দফতরে উপস্থিত থাকার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হলো।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।