আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে দেশের মানুষ এতটাই খুশি যে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।’
শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে অসহায় মানুষের মধ্যে রিকশা ও ভ্যানগাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ১০০ জন দরিদ্র মানুষের মধ্যে রিকশা ও ভ্যান বিতরণ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনে জনগণ খুশি। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সততা ও পরিশ্রমী নেতৃত্বের জন্যও খুশি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় বিষয়ে কোনো সংকোচ ও দ্বিধা নেই। সরকার গত ৯ বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তাতে জনগণ খুশি বলেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। উন্নয়ন-অর্জন ও কর্ম দিয়ে আওয়ামী লীগ আগেই ভয়কে জয় করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। আর এ জন্যই তাদের আন্দোলনে মানুষ যেমন সাড়া দেয়নি, তেমনি আগামী নির্বাচনেও বিএনপি নামের বিষফোঁড়াকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বিএনপিকে চায় না। আগে যারা বিএনপি সমর্থন করত তারাও ওই দলটির নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। জনগণও এই নেতিবাচক রাজনীতি পছন্দ করছে না, প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির জোয়ারের দিন শেষ, এখন ভাটা চলছে। সেনাছাউনিতে জন্ম নেওয়া দলটিতে আর কখনও জোয়ার আসবে না। বিএনপির পেট্রোল বোমার গণতন্ত্রের দিন শেষ। তারা যদি ভেবে থাকে আবারও ৫ জানুয়ারি ফিরে আসবে- তাহলে ভুল করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সারা বাংলায় দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত না দেওয়ায় তাদের দলে নেওয়া হচ্ছে না। আর আওয়ামী লীগও এখনও সম্মতি দিচ্ছে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কেবল বক্তব্য আর কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে। তাই বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনের কর্মসূচি কেবল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও আলোচনা সভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য একশ’ রিকশা ও ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে। শনিবার এতিম ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।’
আওয়ামী লীগের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে হতাহতদের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। সবসময় খোঁজ-খবর রাখছেন। কীভাবে হতাহতদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়-তা নিয়ে কাজ করছেন। সরকারের মূল দায়িত্ব নিহতদের লাশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর ও দাফন সম্পন্ন করা।’
উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে ও দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন একেএম এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল হোসেন, শাহে আলম মুরাদ, ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ।