সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারও নির্বাচনকালীন সরকারের আকার গতবারের কাছাকাছি হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এই সরকার গঠন হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কেউ থাকবেন না। সরকারের আকারটা ছোট হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, জাতীয় পার্টি তাদের আরও দু-একজনকে এই সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন আগামী মাসেই চূড়ান্ত করে ফেলা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মনোনয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০ থেকে ৭০ জনকে আভাস-ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
১০০ জনের তালিকা করা হয়েছে বলে যে কথা শোনা যাচ্ছে, সে প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো তালিকা যদি হয়ও, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ জানেন না।
আগামী নির্বাচনে জোট-শরিকদের কত আসন দেওয়া হবে—এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬৫-৭০টি হতে পারে।
আরেক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করবে বলে তারাই ঘোষণা দিয়েছে। মেরুকরণ যেভাবে হবে, জোটের সমীকরণ সেভাবেই হবে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দরকার উন্নতমানের চিকিৎসা। উন্নত চিকিৎসার জন্য যে হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব, সেখানে যেত আপত্তি কোথায়? আসলে বিএনপি খালেদা জিয়ার চেয়ে তাঁর অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটাকে ইস্যু বানিয়ে আন্দোলন করতে চাইছে।’