নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর আমেলার মাসিক বৈঠকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন—সহ-সভাপতি আলহাজ মো. আনোয়ার হোসেন, নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, সম্পাদক মুফতি ফরিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুফতি নিজাম উদ্দিন, ডা. মুজিবুর রহমান, আলহাজ অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট হানিফ আলী।
শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, ‘আকস্মিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ, সাধারণ জনগণের আয় বাড়েনি। জীবনমানের উন্নতি হয়নি। ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, ভোজ্য তেল ও সারের মূল্য যেভাবে হুটহাট করে বাড়ানো হলো, তাতে দেশের জনগণ হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে ফজরের পর থেকে বেলা প্রায় ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের অভাবে চুলায় আগুন জ্বলে না। রান্নাবান্না বন্ধ থাকে বাসাগুলোতে। অথচ, দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যাংকসহ সকল প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুতের খবর নাই। অথচ, দাম বাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকার জানে, দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলে জনগণ মেনে নিতে বাধ্য হয়।’
শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরও বলেন, ‘জুলুমের শিকার জনগণ ফুঁসে উঠলে আপনাদের পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি দশা থেকে বেরিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নচেৎ, ব্যর্থতার দায়ে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।’