চাকরিটি আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ? অঞ্জন দত্তের এই গানের মতো চাকরি পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন আমরা এমন উৎফুল্ল থাকি। যেন এক সোনার হরিণ পাওয়া।
কিন্তু বছর না ঘুরতেই মনে হয় সেই সোনার হরিণ নিতান্তই মাটির মোহর। এমন কি মনে হয় না কারও? চাকরিতে এত এত চাপ। ঝামেলা। এতকিছুর পর চাকরিটি আর আনন্দের হয়ে থাকে না।
চাকরির প্রতিদিনের যন্ত্রণা এখন কেউ কেউ মাথা পেতে নিতে চাচ্ছেন না। মনে মনে ভাবনা নিজে যদি একটি কিছু করা যায়। কিন্তু কয়জনে পারেন এমন একটি কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে? দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভয়..
কেউ পারেন আবার কেউ পারেন না। নিজেকে উদ্যেক্তার জায়গায় পৌঁছে দিতে। যখন আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের পথচলা শুরু করলেন, মনে রাখবেন এই যে ট্রেন চলা শুরু করল মাঝপথে যেন কোনো স্টেশনে তা থমকে না যায়। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিটি সময়ই মহৃল্যবান।
নেতৃত্ব নিজের হাতে নেয়া নিঃসন্দেহে অনেক বড় দায়িত্ব নেয়া। ভয় লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেজন্য তো স্বপ্ন থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না, তাই না? আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে নিজের নেতৃত্ব প্রতিনিয়ত নিজেকেই দিতে হবে।
আসলেই উদ্যোক্তা হতে চাই?
আপনার মাঝে লুকিয়ে আছে অসীম ক্ষমতা। সেই ক্ষমতাকে চিনুন। বাজারে এখন প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। সবাই নিজের আলাদা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে আগ্রহী। খেয়াল করে দেখুন, মাঠে সবাই নামে।
কিন্তু সবাই টিকে থাকতে পারে না। টিকে থাকার জন্য চাই ধৈর্য্য, কৌশলী মন। আপনার যদি একজন দূর্দান্ত ব্যবসায়ী মানসিকতা থাকে তা হলে কোনোভাবে যেন এর কম ব্যবহার না হয়।
আবার যদি সেটি না থাকে তা হলে নিজেকে গড়ে তুলতে শ্রম দিতে হবে আপনার। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার নিজের ভেতর থেকেই আসবে। যখন আপনি নিজেকে চিনবেন আপনি জানবেন আপনাকে কি করতে হবে। তখন আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।
নিয়ম মেনে সবসময় : একজন নেতার জন্য নিয়মের গণ্ডিতে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সব কাজ যত সময়মত করতে থাকবেন তত আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে। আপনার কোনো কাজ জমে থাকবে না। এভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে।
প্রতিদিন রাতে নিজের একটি রুটিন করুন। কিভাবে পরদিন কাজ করবেন, কখন কি করবেন ঠিক করুন। দিনশেষে যখন মিলিয়ে দেখবেন সব কাজ ঠিকমতো করতে পেরেছেন তখন পরদিন কাজ করার স্পৃহা আরও বেড়ে যাবে।
আর কারও কাছ থেকে নিজের শ্রমের স্বীকৃতির প্রয়োজন হবে না আপনার। আপনি নিজেই নিজেকে বলবেন ‘সাব্বাস’!
লক্ষ্য থাকুক অটুট : চাকরিজীবন থেকে স্বনির্ভরতার এই সংগ্রামে আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে এসেছেন। এখানে আপনার কোনো বস নেই বলে আপনি যদি হালকা চালে চলা শুরু করেন তা হলে কিন্তু বিপদ! সময় পেরিয়ে যাবে, বছর শেষে আপনার মনে হবে কিছুই করা হল না। তখন মনে হবে, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
আপনার সিদ্ধান্তটি খুবই সাহসী। কিন্তু একে সত্য করতে হলে হতে হবে পরিশ্রমী। নিজেকে সারাক্ষণ মনে করিয়ে দিন আপনার উদ্দেশ্য, নিজেই নিজেকে সজাগ রাখুন। একটি টার্গেট ঠিক করুন। সেটি এমন জায়গায় লিখে রাখুন যাতে সবসময় চোখে পড়ে।
যোগাযোগের গণ্ডি বৃদ্ধি : সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল নিজের যোগাযোগের গণ্ডিকে বাড়ানো। আপনার নেটওয়ার্ক বড় করুন। নিজেকে ছড়িয়ে দিন অনেক মানুষের মাঝে। নিজের গল্পগু বলুন।
অবশ্যই পজেটিভ গল্প যা অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষকে শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে আবেগের দিক থেকেও নিজের সঙ্গে যুক্ত করুন। বড় হন, পরিপক্ক হন। নিজেকে প্রকাশ করুন উজ্জ্বল করে, আপনার ব্যবসার ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে।
সংশ্লিষ্ট বই : নিজেকে সব সময় মোটিভেটেড রাখতে ভালো বইয়ের বিকল্পগু নেই। স্বনির্ভর মানুষের গল্প পড়ুন, তাদের বক্তব্য, জীবনদর্শন জানুন। দেখবেন, আপনার সাহস বেড়ে গেছে অনেক গুণে।
ঝুঁকি নেয়ার মানসিক ক্ষমতাও বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব বই আপনাকে জানাবে কিভাবে শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়! কিভাবে কিছু মানুষ আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থেকেও আজ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব পরিণত হয়েছেন।
আবার যদি সেটি না থাকে তা হলে নিজেকে গড়ে তুলতে শ্রম দিতে হবে আপনার। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার নিজের ভেতর থেকেই আসবে। যখন আপনি নিজেকে চিনবেন আপনি জানবেন আপনাকে কি করতে হবে। তখন আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।
নিয়ম মেনে সবসময় : একজন নেতার জন্য নিয়মের গণ্ডিতে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সব কাজ যত সময়মত করতে থাকবেন তত আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে। আপনার কোনো কাজ জমে থাকবে না। এভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে।
প্রতিদিন রাতে নিজের একটি রুটিন করুন। কিভাবে পরদিন কাজ করবেন, কখন কি করবেন ঠিক করুন। দিনশেষে যখন মিলিয়ে দেখবেন সব কাজ ঠিকমতো করতে পেরেছেন তখন পরদিন কাজ করার স্পৃহা আরও বেড়ে যাবে।
আর কারও কাছ থেকে নিজের শ্রমের স্বীকৃতির প্রয়োজন হবে না আপনার। আপনি নিজেই নিজেকে বলবেন ‘সাব্বাস’