নিখোঁজের একদিন পর ক্ষেতে মিললো মেয়ের মরদেহ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর লামিয়া (১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ শুক্রবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের একটি ফসলি ক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা ফসলি জমিতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত লামিয়া কালিকাপুর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের লোকমান ফকিরের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় ও সূত্রে জানা গেছে, নিহত লামিয়া গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হোসনাবাদ নিজ এলাকা থেকে নানা বাড়ি চরনাচনা এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এরপরে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট দেওয়া হয়। সারাদিন পার হওয়ার পরেও রাতে বাড়ি আর ফিরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে মাদারীপুর সদর থানায় জিডি করেন তার বাবা।
পরে শুক্রবার রাতে লামিয়ার মরদেহ কালিকাপুর ইউনিয়ন এলাকায় একটি ফসলের ক্ষেতে পাওয়া যায়।

লামিয়ার বাবা লোকমান ফকির বলেন, আমার মেয়েকে কিছু বখাটে ছেলেরা ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে, আমি এর কঠিন শাস্তি দাবি করি। আমাদের কোন শত্রু নাই। অন্য কোনো কারণে কেউ মারবে না।

মা জনি বেগম বলেন, আমার মেয়ে লামিয়াকে কেউ ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। যারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে আমরা তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করি প্রশাসন এবং সরকারের কাছে।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago