না ফেরার দেশে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে প্রথম শিরোপা আসে ১৯৭৮ সালে। এই শিরোপার পেছনের কারিগর ছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি। আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্য কারিগর মেনোত্তি আজ চলে গেছেন না ফেরার দেশে। খবরটি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। মেনোত্তির বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

 

জানা গেছে, রক্তস্বল্পতা ও নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে মাসখানেক ধরেই হাসপাতালে ছিলেন মেনোত্তি। তবে লড়াই করেও হেরে গেলেন এই বর্ষীয়ান কোচ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি।

তার কোচিংয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয় করে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘোচায় আর্জেন্টিনা। পরের বছর যুব বিশ্বকাপেও (অনূর্ধ্ব-২০) তার কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ওই যুব বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করে বিশ্ব ফুটবলে নিজের আগমনী বার্তা ভালোভাবে জানান দেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এই কোচের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার।

 

সেসার লুইস মেনোতির জন্ম ১৯৩৮ সালে রোজারিওতে। খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন স্ট্রাইকার। খুব উল্লেখ করার মতো কিছু করতে পারেননি খেলোয়াড়ী জীবনে। তবে কোচ হিসেবে তিনি ছাপিয়ে গেছেন সবকিছু। নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে শুরু। এরপর তার কোচিংয়ে ১৯৭৩ সালে আর্জেন্টাইন চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে উরাকান।

১৯৭৪ সালে তিনি দায়িত্ব নেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের। দীর্ঘদিন ধরে দলকে গড়ে তোলেন বিশ্বকাপের জন্য এবং দেশের মাঠে ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এছাড়াও আর্জেন্টিনার ফুটবলে মারদাঙ্গা স্টাইল পরিবর্তন করে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় ফুটবল চালু করার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

 

১৯৮২ বিশ্বকাপের পর ক্লাব কোচিংয়ে ফিরে বার্সেলোনার দায়িত্ব নেন তিনি। তার কোচিংয়ে ১৯৮৩ সালে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে কাতালানরা। এরপর দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, মেক্সিকো জাতীয় দল, সাম্পদোরিয়াসহ আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ক্লাবকে কোচিং করান।