রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নারী সহকারীদের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা এখন নতুন কিছু নয়। তবে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চান  না কেউওই।

তবে এমন কীর্তিকলাপের কথা সবার সামনেই স্বীকার করলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী মার্ক গার্নিয়ার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানান, নারী সহকারীকে দিয়ে ‘সেক্স টয়’ কিনিয়েছিলেন তিনি।

২০১০ সালের ঘটনাটি ঘটে। বড়দিনের খাওয়াদাওয়ার পর সহকারী কেরোলিন এডমন্ডসকে নিয়ে উপহার কিনতে বেরিয়ে পড়েন মার্ক। একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সহকারী কেরোলিন হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে আদেশ করেন দুইটি ‘সেক্স টয়’ কিনে আনতে। তার এই কথায় হতভম্ব হয়ে পরেন কেরোলিন।

মন্ত্রী আরও জানান, সেই দুটি যন্ত্রের একটি তার স্ত্রীকে ও অপরটি অন্য এক নারীকে উপহার দেবেন তিনি। ফলে অনিচ্ছা থাকা সত্বেও যন্ত্র দু’টি কিনে আনেন কেরোলিন।

‘দ্য সান’ পত্রিকার দাবি,  ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন কেরোলিন।

শুধু এই ঘটনাই নয় এক পানশালায় তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেছেন মন্ত্রী বলেও অভিযোগ জানান তিনি। মন্ত্রী মার্ক গার্নিয়ারের আচরণে ওই বছরই চাকরি ছেড়ে দেন সহকারী কেরোলিন এডমন্ডস। তবে তার অভিযোগের পরই বিপাকে পরেন অভিযুক্ত মন্ত্রী। একের পর এক শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করে তার বিরুদ্ধে।

ইতিমধ্যে এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্ক। অভিযোগের সত্যতা পুরোপুরি অস্বীকার না করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তার দাবি, সহকারীকে দিয়ে মজার ছলে সেক্স টয় কিনিয়েছিলেন তিনি। তবে কোনও সময়ই শ্লীলতাহানির মতো কোনও কাজ তিনি করেননি। তবে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে মন্ত্রীত্ব হারাতে হতে পারে তাকে। এমনকি জেলেও যেতে পারেন তিনি।