অমৃত রায়, কোরেসপন্ডেন্ট:: আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস। বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৩৫তম জন্ম ও ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। খবর বাসসের।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে পদকপ্রাপ্ত দুই নারীকে অভিনন্দন জানানো হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নারী সমাজকে আত্মোন্নয়নে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় সমাজ ছিল নানাবিধ কুসংস্কারে পূর্ণ। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তিনি নারী জাগরণের অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
কর্মসূচি: বাংলা একাডেমি আজ বিকেল চারটায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বেগম রোকেয়া স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশ নেবেন গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন।
রোকেয়া পদক পাচ্ছেন তাইবুন নাহার ও বিবি রাসেল: তাইবুন নাহার রশীদ (মরণোত্তর) ও বিবি রাসেল এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০১৫’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। নারীর শিক্ষার বিস্তার, নারীর সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারী জাগরণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই দুই নারীকে এ পদক দেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হবে। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, স্বর্ণপদক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
তাইবুন নাহার ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন।
বিবি রাসেল বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন।