নারীর প্রতি সহিংসতা ও শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তাদের মাঝে মেধা, দেশাত্ববোধ ও মূল্যবোধের জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু যেই স্বপ্নের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটি আজকে শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ ও ৪১ সাল নাগাদ আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচে তথ্য মন্ত্রণালয়ের শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রমের আওতায় বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আজম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম আবুল হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বিটিভি’র অনুষ্ঠান প্রিভিউ কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিশুদের মাঝে মনন তৈরী ও দেশাত্ববোধ, মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য স্বপ্ন দেখাতে হবে। তাদের স্বপ্ন দেখাতে হবে। জীবনটা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র, এই যুদ্ধে জিততে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। জীবন চলার পথে অনেক আচ্ছাদন হারিয়ে যাবে, তাতে থামিয়ে গেলে চলবেনা। স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি যদি বাস্তবায়নের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা থাকে তাহলে অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর কাছে অতিক্রান্ত। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন যেভাবে পৃথিবীর কম উন্নয়নশীল দেশে হয়েছে। সমস্ত স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে কেউ ভাবেনি স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। এখন নারীরা বিমান চালাচ্ছেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নারী ডিসি, এসপি, মেজর জেনারেল হবে কেউ চিন্তা করেনি। এসব সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।

মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেন তখন গড় আয়ু ছিল ৪৪ বছর। বর্তমানে আমাদের দেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ভারতে ৭১ বছর, পাকিস্তানে ৬৯ বছর। এটা সম্ভব হয়েছে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর কারণে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষতার সাথে। নারীদের অবজ্ঞা ও অবহেলা করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শিশুদের দায়িত্ব নিতে হবে আমাদেরকে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে শিশুদের। নারী ও শিশুদের পেছনে ফেলে আমরা উন্নত জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।