‘নারীর কাজের মূল্যায়নেই দূর হয় বৈষম্য’

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

রাষ্ট্রীয়ভাবে, সমাজ ও পরিবারে নারীর গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন আজ সময়ের দাবি। আর ঘরের কাজের পাশাপাশি নারীর সকল আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কাজের যথাযথ মূল্যায়নই একটি লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও একশন এইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা : প্রেক্ষাপট গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম।

গৃহস্থালীর সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি আদায়ে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শাহিন ইসলাম বলেন, ঘরের কাজগুলোও যে রাষ্ট্র, পরিবার ও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাজে নারীরা যে ভূমিকা পালন করে আসছে, সেটার মূল্যায়ন ও সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যম ভূমিকা পালন করতে পারে। পত্রিকায় ফিচার, সংবাদ, কলাম প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ বিষয়টি আলোয় আনতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পূরণেও এ কাজটি জরুরি।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রাম,পলিসি এন্ড ক্যাম্পেইন) আসগর আলী সাবরী।

সভা প্রধানের বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার পাশাপাশি গৃহস্থালির কাজে তার শ্রম ও ঘামের মূল্যায়ন করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীরা এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরি করতে কাজ করতে পারে। নারীকে পিছিয়ে রেখে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই নারীর কাজকে স্বীকৃতি দেয়া আবশ্যক।

তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে নারীকে তার শ্রমের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। নারী-পুরুষ দুজনের হাত ধরেই সমাজ ও প্রগতি এগিয়ে চলে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরী বলেন, নারীর একটা বড় অংশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশ। এদের গৃহস্থালির কাজ একদমই স্বীকৃত না। এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে আলোয় আনতে হবে। তাদের জাগাতে হবে। আর এই কাজটি করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাধারণ মানুষকে জানানো, গৃহস্থালি কাজের মূল্যায়ন যাতে ঘর থেকে শুরু হয়, সমাজ ও রাষ্ট্র যাতে এই কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করে, সে ব্যাপারে নিয়মিত গণমাধ্যম সচেতনতামূলক বার্তা প্রকাশ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মোট ৩৫ জন সাংবাদিক এ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

প্রশিক্ষণ-কর্মশালাটির সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান।