নামাজরত নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নামাজরত অবস্থায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের গোহারুয়া (মানিকমুড়া) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই নারী গোহারুয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৫৫))। আজ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

নিহতের মেয়েদের দাবি, পোল্যান্ড প্রবাসী ভাই বেলার হোসেনের শ্বশুর মাহবুবুল আলম কাঞ্চন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একমাত্র ছেলে বেলাল হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করতেন রাশেদা। সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে তাছলিমা বাবার বাড়ি চলে যান। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

বুধবার মাগরিবের নামাজের সময় রাশেদার ছোট মেয়ে মায়ের মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পান। পরে পার্শ্ববর্তী ঘরের মামাতো বোন জ্যোৎস্না বেগমের কাছে ফোন করলে তিনি ঘরে গিয়ে নামাজের বিছানায় রাশেদাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

 

এ সময় জ্যোৎস্না চিৎকার করলে বাড়ির অন্য লোকজন এসে রাশেদাকে উদ্ধার করে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাশেদার মাথায় মারাত্মক জখম, গলায় ওড়না পেঁচানো ও জিহ্বা বের হয়ে ছিল।

নিহতের মেয়েরা বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাইয়ের শ্বশুর কাঞ্চন দীর্ঘদিন আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ বেলালের স্ত্রীর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মাকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি অজ্ঞাত লোকজন ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীকে কুপিয়ে ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি ওই নারীকে কে বা কাহারা হত্যা করে তার স্বর্ণ ও মোবাইল নিয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, খবর গেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওই নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।