নামঞ্জুরের চার ঘন্টার মাথায় আউয়ালের জামিন, বিচারককে স্ট্যান্ড রিলিজ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

নাটকীয়ভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত তিনটি মামলায় পিরোজপুরের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিনকে জামিন দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

একই সাথে দুর্নীতির মামলায় সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে করাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া বিচারককে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

এর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের দু’জনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল মান্নান।

রায় ঘোষণার পরে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করে। পাশাপাশি পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় রায় বাতিল এবং বিচারকের বদলির দাবি জানিয়ে সড়ক অবরধ ও বিক্ষোভ করে আওয়ামীলীগ নেতা আউয়াল অনুসারীরা।

এর প্রক্ষিতে না মঞ্জুরের ৪ ঘণ্টা পর বিকেল ৪ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন শুনানি শেষে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিনের ২ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

এছাড়াও সাবেক ওই এমপির জামিন না মঞ্জুর করা পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না এই তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না বলেন, সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল এর বিরুদ্ধে দুদক যে মামলা করেছে তাতে কোন ক্রিমিনাল অফেন্স নেই। এ কারনে আমরা তাদের জামিন আবেদন করি।

কিন্তু জেলা ও দায়রা জজ জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন এবং তাদের দু’জনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর কিছু পরেই আমরা জানতে পারি জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এর স্থলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হয়েছেন ২য় যুগ্ম জজ নাহিদ নাসরিন।

এর পরই সকল আইনজীবীরা পুনরায় তার আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন শুনানি শেষে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিন কে ২ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।