ছোটকাল থেকে লালন পালন করে বড় করে তোলা নানি ফুলমালা বেগমকে (৬০) হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে ফোন করে ঘটনার বর্ণনা দিলেন নাতি পলাশ (২০)।
গতকাল গভীর রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই নানির লাশের পাশ থেকে নাতি পলাশকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে মাধবদী থানায় নিহত ফুলমালা বেগমের ছেলে শামীম আহমেদ বাদী হয়ে পলাশকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ফুলমালা বেগম মেহেরপাড়া ইউরিয়নের কুড়েরপাড়া গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী।
মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, মাধবদীর কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর মেয়েকে পার্শ্ববর্তী স্বর্রপনিগৈর গ্রামের ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর জামাইয়ের মৃত্যুতে নাতি পলাশকে লালন পালন করার জন্য নিজের কাছে নিয়ে আসে। পরে তাকে স্কুলে ভর্তি করে লালন পালন করে আসছিল। এরই মধ্যে নাতি পলাশ এসএসসি পাস করে একটি কলেজে লেখাপড়া করতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় নাতি পলাশ বাড়িতে এসে নানি বৃদ্বা ফুলমালার (৬০) কাছে খাবার (ভাত) চায়। এসময় নানি পলাশকে দেরি করে বাড়িতে আসায় বকাঝকা করে। এ নিয়ে নানির সঙ্গে পলাশের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে পলাশ হাতুরি দিয়ে নানিকে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই নানির মৃত্যু হয়।
নানির মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পলাশ লাশের পাশে বসে নরসিংদী পুলিশ সুপারের নম্বরে কল করে হত্যার ঘটনা জানায়। পরে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মাধবদী থানায় নিহত ফুলমালা বেগমের ছেলে শামীম আহমেদ বাদী হয়ে পলাশকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মাধবদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান (ওসি) বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকারী নাতি পালাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ফুলমালা বেগমের লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।