মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, প্রাচীন স্থাপত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে উত্তরা গণভবন প্রাঙ্গণ ও বাইরের অংশ পর্যটন উপযোগী করা হবে। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকসহ সরকার সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আজ শুক্রবার নাটোরের উত্তরা গণভবনে ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব কথা বলেন।
গণভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। এসময় উত্তরা গণভবনের উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন।
সভাশেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব উত্তরা গণভবনে রাজাবাড়িতে ব্যবহৃত শতাধিক দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর সমাহারে একটি ‘সংগ্রহশালার’ উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে গণভবন প্রাঙ্গণে একটি মিনি চিড়িয়াখানাও উন্মুক্ত করা হয়।
এরআগে মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে গণভবন প্রাঙ্গণের লেকে বোটিং, লেকের চারপাশে পায়ে হাটার রাস্তা ও উপরে ফুটওভার ব্রীজ এবং গণভবনের প্রবেশ দ্বারের সামনের অংশের লেকসহ শিশু পার্ক, ৪২ কক্ষের গেষ্ট হাউজ, শপিং কমপ্লেক্স, সিনেপ্লেক্স, কনফারেন্স রুমসহ পর্যটক আকর্ষণের উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়, যার বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
আজ উদ্বোধনকৃত উত্তরা গণভবনের ট্রেজারি ভবনের আটটি কক্ষে স্থাপিত সংগ্রহশালায় দিঘাপতিয়া রাজ পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার্য আসবাবপত্র, পোষাক, তৈজসপত্র, বই, কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি, ডায়েরিসহ শতাধিক উপকরণ প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রায় পরিত্যক্ত রাণীঘাট চত্বরের হরিণচূড়া এলাকায় হরিণ, ময়ূর, বানর ও টিয়া পাখির সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা।
গণভবন চত্বরে ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রোপিত একটি হৈমন্তী গাছ সনাক্ত করে শ্বেত পাথরে গাছের তলা বাঁধাই করে নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। ওই সময় বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গভর্নর হাউজকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই চত্বরে একটি জয়তুন গাছের চারা রোপণ করেন। রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।