সারোয়ার হোসেন, টাংগাইল প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের নাগরপুরে বন্যার্ত এবং নদী ভাঙ্গন মানুষের মাঝে এাণ বিতরণ করেছেন নাগরপুর-দেললুয়ার ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আজ ২৩ জুলাই নাগরপুর উপজেলার অন্তর্গত সলিমাবাদ ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীর ঘেঁষা খাসঘুনি এবং চড়ঘুনি এলাকায় ২০ টি পরিবারে মাঝে ত্রাণ এবং বেশ কয়েকটি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেছে নাগরপুর-দেললুয়ার শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ ।
উজানের পানি বৃদ্ধিপেয়ে হঠাৎ যমুনা নদী কেড়ে নেয় সলিমাবাদ ইউনিয়নের খাসঘুনি-চড়ঘুনি গ্রামের শত শত বাড়ী। প্রতি বছর ই তাদের এলাকায় যমুনার আঘাতে নষ্ট হয় কৃষকের হাজারো স্বপ্নমাখা বছরের ফসল।প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও তারা শত আশা নিয়ে বেঁচে থাকে নদীর উপকুলে। তাদের এই কষ্ট দেখার মত যেন কেউ নেই পাশে, যদিও নির্বাচনের সময় অনেক নেতাকর্মী আশ্বাস দিয়ে থাকে কিন্তু সেটা আশ্বাস পরর্যন্তই, বাস্তবে আর পরিনত হয় না।
এলাকার ফজলুল মণ্ডল নামে এক মুরুব্বী জানানঃ আমাদের এদিকে প্রতিবছর শতশত বাড়ীঘর ভেঙ্গে যায়। এ বছরও ৩০০ শত বাড়ী নদীর গর্ভে চলেগেছে। তিনি আরো বলেন,পাইকসা মান্জ্যালী গ্রাম এখন পুরোটাই নদীর বুকে চলে গেছে, বর্তমানে নদীর ভাঙ্গনে চরঘুনিও প্রায় পুরোপুরি শেষ পর্যায়ে।
জয়নাল শেখ ও ফুলমালা এবং মজনু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা জানানঃ
প্রতি বছর সেখানকার শতশত বাড়ী ভাঙ্গনেও সরকারীভাবে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। চেয়ারম্যান, মেম্বর বা এমপি মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগে এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দিলেও পরে আর কোনো খবর রাখেন না।
এমনিতেই বানের পানি তার মাঝে খাদ্যসংকট তাদেরকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। অনেক পরিবারের খাদ্য সমস্যা থাকলেও সরকারীভাবে এখন পর্যন্তও কোনো ত্রাণ তারা পায়নি বলে জানিয়েছে । এলাকাবাসীর দাবি সরকার প্রধান যেন তাদের এই অসহায় অবস্থা দুরকরে এবং দূত যমুনা নদীর একটি বাঁধ নির্মাণ করে সলিমাবাদ ইউনিয়নকে রহ্মাকরে।
ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের একটি টিম । এসময় সেখানকার মানুষদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানের কিছু লোকের সাথে সাক্ষাৎকার করেন। স্থানীয় সকল মানুষদের প্রাণের দাবি, সরকারপ্রধান যেন তাদের জন্য যমুনা নদীর স্থায়ী একটা বাঁধের ব্যবস্থা করে দেয় এবং ত্রাণের ব্যবস্থা করেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত হলে আশেপাশের যারাই জানতে পারে সবাই ছুটে আসে এক প্যাকেট ত্রাণের জন্য। কিন্তু সল্প পরিমাণ থাকার কারণে সবার চাহিদা পূরণ করতে পারিনি তারা।
ত্রাণ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের, ফাহাদ বিন ইলিয়াস, মনির হুসাইন, বুলবুল আহমেদ, কবির হোসেন, আমিনুল ইসলাম।
মোঃ ফাহাদুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, আমরা সর্ব অবস্থায় অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। আজকে এাণ দিতে গিয়ে যা দেখাগেল তা ভাবার মত নয়। আজ বন্যার পানির কারণে মানুষ কতটুকু অসহায় হয়েগেছে তা দেখা ব্যতীত বুঝতে পারতাম না। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে যতটুকু সম্ভব হয়েছে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবার চেষ্টা করেছি কিন্তু এতটুকু তাদের জন্য যতেষ্ট নয়, আরো অনেক বেশি সহায়তার প্রয়োজন। আমরা আজ প্রথমবার এাণ বিতরণের কাজ শেষ করলাম। তবে অতিসত্বর আরো অনেক বেশি পরিমাণ এাণ নিয়ে অসহায় বন্যার্তের মাঝে উপস্থিত হবো। আমাদের সাথে কেউ সহায়তায় অবদান রাখতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। নাগরপুর ছাএ অধিকার পরিষদ টাংগাইল।