নাগরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড, শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক হ্মতি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

সারোয়ার হোসেন নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি: একদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এমনিতেই মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর আবার কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুরুকরে রাতভর কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে এবং কমপক্ষে অর্ধশত ঘর-বাড়ি লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে নাগরপুরের  পাইশানায় নবনির্মিত মারফত-জেরফন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।

এদিকে ঝড়ের বশে কয়েকজন লোক  আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায় নি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ দুলাল বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার পাইশানা গ্রামে। এখানে অনেক বাড়িঘর ভেঙে চুরমার হয়েছে। দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ধানক্ষেতে ঘরের টিন পড়ে রয়েছে। নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা বলরামপুর, ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদিয়া, কোদালিয়া,কাশিনারা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোলহাটে ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ব্রি ২৮ পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ব্রি ২৯ ধানের পাতার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আনেক ধানখেত শীলাও বৃষ্টির পানি দ্বারা ভর উঠেছিলো।  আমরা অচিরেই ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করবো। উপজেলার পাইশানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছি। এরমধ্যে ঝড়ে আমাদের পাকা ধান শেষ করে দিলো। এখন আমাদের আর কষ্টের সীমা থাকলো না । না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।

পাইশানা গ্রামের শান্ত মিয়া বলেন, কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে দোকানপাটসহ প্রায় ৬০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদুৎ সংযোগ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ধান ক্ষেতের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারি সাহায্য কামনা করেছেন।