নলছিটির দপদপিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় দপদপিয়ার ভরতকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- রতন কাজীর ছেলে সোহাগ কাজী, কালাম সিকদারের ছেলে বেল্লাল সিকদার ও তার ছেলে মেহেদি হাসান, মেয়ে রেক্সোনা বেগম এবং স্ত্রী কহিনুর বেগম।
বর্তমানে তারা বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সোহাগ জানান, নলছিটির দপদপিয়া ভরতকাঠী গ্রামের সোহাগ কাজীর পালিত ছাগল গত মঙ্গলবার প্রতিবেশী বেল্লাল সিকদারের ক্ষেতের কলাই ক্ষেতের পাশ দিয়ে গেলে বেল্লাল ও তার ছেলে মেহেদি হাসান পিটিয়ে ছাগলের পা ভেঙ্গে দেয়। এ নিয়ে সোহাগ জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেল্লাল ও তার পরিবার ছাগলের চিকিৎসা খরচ দেয়ার কথা অঙ্গীকার করে। কিন্তু ৪দিন অতিবাহিত হলেও চিকিৎসার কোন খরচ না দেয়ায় সোহাগ বেল্লালের বাসায় যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেল্লাল ও তার পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দেয়ায় হুমকি দেয়। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে একপর্যায়ে বেল্লাল, মেহেদি, রেক্সোনা, কহিনুরসহ ৪/৫ জন পিটিয়ে সোহাগের হাত ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া সাবল দিয়ে সোহাগের বুকে কোঁপ দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপরদিকে বেল্লালের স্ত্রী কহিনুর বেগম জানান, প্রায় সময় সোহাগের পালিত গরু ও ছাগল বেল্লালের জমিতে ঢুকে তার ফসল নষ্ট করে। এতে বিভিন্ন সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হলে সে কোন ধরনের কর্নপাত করেনি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পুনরায় তার পালিত ছাগল বেল্লালের ফসল নষ্ট করে। এতে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন সোহাগ, নুরে আলম, রতনসহ ২০/২৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেল্লাল, মেহেদি, অন্তসত্বা রেক্সোনা ও কহিনুর বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে মেহেদির ও কহিনুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোঁপের আঘাতে মেহেদির মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করবে বলে তাদের স্বজনরা জানান।
এ ব্যাপারে দপদপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইউনিয়ন পরিষদে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে সত্যতা যাচাইপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।