নলছিটিতে মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাদির সংবাদ সম্মেলন

:
: ১ বছর আগে

ঝালকাঠির নলছিটিতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাদি জাহানুর বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি উপজেলার বিন্দুঘোষ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন স্ত্রী।

শুক্রবার (১৬ জুন) উপজেলা শহরের বাইপাস সড়কে একটি বাসায় অনুষ্ঠিত একটি বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাহানুর বেগম বলেন, জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের মোসলেম আলি হাওলাদারের ছেলে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির, বরিউল ইসলাম রুবেল ও আনসার সদস্য হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিবারের বিরোধ রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় ওই তিনজন ছুটিতে বাড়িতে আসেন।

গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে বিন্দুঘোষ গ্রামের হাওলাদার বাড়ির কালভার্টের ওপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক চলাকালে ওই তিন ভাই ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে জাহানুর বেগম ও তার পরিবারের সদস্যের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৫/৬ জনকে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমের কাপড় খুলে শ্লীলতাহানি করে।

চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জাহানুর বেগমের স্বামী তোফাজ্জল হোসেন ও দেবর ওমর ফারুক রাকিবের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওইদিন হামলার খবর শুনে নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীরা পুলিশে চাকুরি করায় তাদেরকে আটক করেনি। এরপর তিনি নলছিটি থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। আহতদের চিকিৎসা শেষে গত ২ মে জাহানুর বেগম বাদি হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা করলে বিচারক নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নালিশী দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলা নিলেও কোন আসামি গ্রেপ্তার করেনি। কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। মামলার মূল আসামিরা জামিন না নিয়ে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে চাকুরি করছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাদিকে মামলা তুলে আসামিদের সঙ্গে আপোষ করার পরামর্শও দিয়েছেন।

জাহানুর বেগম বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা পরিবারের লোকজনকে বাদি বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করে আসছে। তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যসহ মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানজিলুর রহমান বলেন, মামলার পাঁচজন আসামি জামিনে আছেন। বাকি আসামিরা তাদের কর্মস্থলে রয়েছেন। এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।