নরেন্দ্র মোদি
ভারতের ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দিতে সরকারের নেয়া একটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস মহামারির কবলে দেশের দরিদ্র মানুষের দুর্দশা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা নামের এই প্রকল্প আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে।
এনডিটিভি বলছে, দেশটির দরিদ্র প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রত্যেক মাসে বিনামূল্যে মাথাপিছু পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল দেয়ার প্রকল্প নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ষষ্ঠবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসে যেসব উৎসব আসবে সেগুলো মাথায় রেখে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে দেয়া ৫ কেজি চাল ও এক কেজি ডালের প্রকল্প আগামী দিওয়ালি এবং চাথ পূজা পর্যন্ত অথবা নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, বিনামূল্যের খাদ্য সহায়তার এই প্রকল্পে ৯০ হাজার কোটি রুপির বেশি ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। জুলাই মাস থেকে কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়। সেই তুলনায় অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে কাজ কম থাকে। এছাড়া উৎসব মৌসুম শুরু হয় জুলাই থেকে; আর এই সময় মানুষের চাহিদা ও ব্যয় বেড়ে যায়। যে কারণে এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পের মেয়াদ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
বুধবার থেকে ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে জারিকৃত লকডাউন দ্বিতীয় দফায় আনলক-২ নামে শুরু হবে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পখাত ধীরে ধীরে চালু করা হলেও আনলক-২ চলাকালীন দেশটির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, ব্যয়ামাগার ও পানশালা বন্ধ থাকবে।
এদিকে, মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ১৮ হাজার ৫২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে নতুন সংক্রমণের এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম; রোববার দেশটিতে ১৯ হাজার ৯০৬ জন করোনা সংক্রমিত হন।
সাড়ে ৫ লাখের বেশি আক্রান্ত নিয়ে মোট আক্রান্তের হিসেবে এই মুহূর্তে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরই ভারতের অবস্থান। ভারতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। এই মৃত্যু হার অন্যান্য দেশের মতো নিম্ন হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা- যেভাবে রোগী বাড়ছে তার চাপ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সামলাতে ব্যর্থ হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।