হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকারের দেয়া উপজেলার কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক এর দায়িত্বে থাকা লোকদের কাজে ফাঁকি দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাদের সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে অনেক অভিযোগ নিত্যদিনের। গতকাল সোমবার দুপুরে ওই উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এক অরাজকতার অবস্থা।এরই মধ্যে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক,বাদেরায়ঘর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে এসব অরাজকতার দৃশ্য।প্রতিটি ক্লিনিকে সময় মতো খুলে দেয়াতো দুরের কথা দিনের পর দিন বন্ধ থাকে এসব ক্লিনিক।
ওই সব ক্লিনিকের অধীনে থাকা বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা জানান,অনেক দিন যাবত কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে সঠিক সেবা পাচ্ছেন না তারা। এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তাগন নামেমাত্র ওষুধ দিয়ে বাকি ওষুধ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছেন। আহমদ আলী নামের এক রোগী জানান তিনি উমরপুর ক্লিনিকে গিয়েছিলেন রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে। কিন্তু সেবা কেন্দ্রের কোন ডাক্তার তিনি পাননি। এব্যাপারে উমরপুর ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুবিনয় দে এর সাথে হাসপাতালে না পেয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল সোমবার তিনি তার উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অন্যত্র আছেন।ওই ক্লিনিকের এইচএ স্মৃতি রাণী সুত্রধর এর সাথে ফোনে আলাপ হলে তিনি বলেন বাড়িতে আছেন তার শিশু বাচ্ছা অসুস্থ। এর জন্য ক্লিনিকে আসতে পারেননি।
অপরদিকে বাদেরায়ঘর কমিউনিটি ক্লিনিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে একই অবস্থা। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্Í কোন লোক নেই। এবং ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। পরে সিএইচপিএস নাজমিন বেগম এর সাথে ফোনে আলাপ হলে তিনি সকাল ১১টায় বাড়িতে আছেন এবং ক্লিনিকে আসছেন বলে জবাব দেন।এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্্েরর টিএইচও জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি ট্রেনিংয়ে আছেন। এবং তার পদস্থলে ডাঃ আব্দুল সামাদ দায়িত্বে রয়েছেন। ডাঃ আব্দুল সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা লোকদের না থাকার ঘটনাটি শোনে অনুতপ্ত প্রকাশ করে বলেন এ ব্যাপারে তিনি ও তার কর্তৃপক্ষ মিলে ব্যবস্থা নিবেন। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী- পেশার লোকজন মনে করেন সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছে অবহেলিত ও অসহায় লোকদের সেবা প্রদান করতে।
অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা লোকেরা কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এবং দায়িত্বে অবহেলা কারীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনের আওতায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করলে জনগন তাদের ন্যায্য চিকিৎসা পাবে বলে তারা দাবি জানান সাধারণ ভুক্তভোগীরা।