যশোরের শার্শার একটি ক্লিনিক থেকে চুরি হওয়া নবজাতক শিশুটিকে আট ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাভারণ বাজারের ‘পল্লী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার’ থেকে নবজাতক শিশুটি চুরি হয়।
শার্শা থানা পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে অবশেষে রাত ৭টার সময় ঝিকরগাছা উপজেলার দোষতিনা গ্রাম থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সালমা খাতুন (২৮) নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সালমা বেগম শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের ফুলসরা গ্রামের আনার আলীর মেয়ে ও ঝিকরগাছা উপজেলার দোষতিনা গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী।
বেনাপোল পোর্ট থানার মানকিয়া গ্রামের নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী নাসরিন বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার ভোরে নাভারণে পল্লী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকাল ৯টায় সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটা কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। আমরা শিশুটিকে নিয়ে বেডে আসার পর অনেকেই তাকে নিয়ে আদর করছিলেন। বেলা ১১টা থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জেনেছি এক মহিলা তাকে ক্লিনিক থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছে।
পল্লী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হামিদ বলেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেন প্রসূতি নাসরিন। বাচ্চাটি আমরা তাদের হাতে তুলে দেই। এর ঘণ্টা দুই পর শুনি বাচ্চাটি পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
শার্শা থানার এসআই আবুল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সারাদিন অভিযান চালিয়ে অবশেষে রাত ৭টার সময় ঝিকরগাছার দোষতিনা গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সালমা খাতুন নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।