নরসিংদীর শিবপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে ইয়াছমিন (১৫) ও ইমা (১৬) নামে নিখোঁজ হওয়া দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল সোয়া ৯ টার দিকে শিবপুর উপজেলার লাখপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যা থেকে স্কুলছাত্রী ইয়াছমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এর দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অপর স্কুলছাত্রী ইমার মরদেহও উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার সাদেকুল বারি।
ইয়াছমিন পলাশ উপজেলার ভাগপাড়া গ্রামের আব্দুল রহিম মিয়ার মেয়ে ও ইমা একই গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। ইমা পলাশ কো-অপারেটিভ স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ইয়াছমিন বাংগালপাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী।
ফায়ার সার্ভিস ও নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইমা তার খালা ইয়াছমিন ও চাচাতো বোন সাদিয়াকে নিয়ে লাখপুর খেয়া ঘাটের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নামে। এক পর্যায় তাদের মধ্যে সাদিয়া নদী থেকে গোসল শেষে ঘাটে উঠতে পারলেও ইয়াছমিন ও ইমা নদীর স্রোতে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বাড়িতে গিয়ে তাদের পানিতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পলাশ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য টঙ্গি থেকে ডুবরী দলকেও খবর দেওয়া হয়। তারা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও মরদেহের কোন খোঁজ পাননি। পরে আজ (শুক্রবার) সকালে আবার তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রথমে নদী থেকে ইয়াছমিনের মরদেহ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এর দেড় ঘণ্টা পর ইমার মরদেহও পাওয়া যায়।
পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার সাদেকুল বারি বলেন, দুই ছাত্রীরই মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলেই আছে। আমরা মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করে দিবো।