শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশে মাত্র একটি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং সাতটি শ্রম আদালত রয়েছে। আদালত সাতটির তিনটিই ঢাকা শহরে, দুটি চট্টগ্রামে, একটি খুলনায় এবং একটি রাজশহীতে অবস্থিত।
বাকি রংপুর, সিলেট, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগে কোনো শ্রম আদালত নেই। তাই এসব বিভাগের একজন দরিদ্র শ্রমিককে বিচার পেতে অন্য বিভাগে যেতে হয়। যা তাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল এমন অভিমত খোদ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।
তাই সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে একটি করে মোট তিনটি শ্রম আদালত গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি ক্রমবিকাশমান। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পের সমন্বিত প্রসার ঘটছে। শোভন শিল্প-সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য শ্রম আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিদ্যমান সাতটি শ্রম আদালত পুরাতন চার বিভাগীয় শহরে অবস্থিত হওয়ায় সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বিচার প্রার্থীদের যথাক্রমে চট্টগ্রাম, খুলনা, এবং রাজশাহী শহরে গিয়ে মামলা দায়ের কতে হবে। যা একজন দরিদ্র শ্রমিকের জন্য কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। ফলে এ সকল অঞ্চলের জনগণ ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের বিচার প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২১৪ (১) ধারায় এ অধিকারের কথা বলা হয়েছে।