দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে চলছে কথার যুদ্ধ ও সামরিক মহড়া। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি চীন এক বিশেষ ধরনের চুম্বকচালিত মোটর উদ্ভাবন করেছে।
এই মোটর পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনগুলোকে শব্দহীনভাবে চলাচল করতে সাহায্য করবে।
চীনের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিএসআইসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্ভাবনাটি সাবমেরিনে স্থাপন করে তা পরীক্ষা করে দেখছে তারা। চীনের এ পরীক্ষা যদি সফল হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্য নৌবাহিনীর সঙ্গে শক্তিমত্তায় সহাবস্থানে চলে আসবে চীনা নৌবাহিনী।
যুদ্ধ জাহাজ বিশেষজ্ঞ ও ‘কমব্যাট ফ্লিটস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইয়ের লেখক এরিক ওয়ার্থেইম বলেন, সাবমেরিন ও অ্যান্টি-সাবমেরিন প্রযুক্তির দিক থেকে চীনা নৌ-বাহিনী এতদিন বেশ পিছিয়ে ছিল। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, চীন এ দুর্বলতা দূর করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৌশলীরা অনেক দিন ধরেই জাহাজের জন্য নির্ভরযোগ্য চুম্বকীয় মোটর উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এ ধরনের মোটর জাহাজের ইঞ্জিন থেকে নির্গত শব্দ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সক্ষম। চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত মোটর শব্দ উৎপাদনের পরিমাণ সর্বনিম্ন মাত্রায় নামিয়ে আনতে পেরেছে।
সিএসআইসি একটি অনলাইন বিবৃতিতে জানায়, চীনের উদ্ভাবিত চুম্বকীয় মোটর সাবমেরিনে পরীক্ষা করেছে তারা।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইনান প্রদেশের সায়না নৌবন্দরের একটি সাবমেরিনে তা প্রতিস্থাপন করা হয় তা। এ বন্দরটি চীনের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে এক বিশেষ ধরনের সাবমেরিন নির্মাণের ঘোষণা করে চীনা নৌবাহিনী। এ সাবমেরিন পানির উপর থেকে দূর পাল্লার মিশাইল ছুড়তে সক্ষম। একই সঙ্গে পানির নিচে ডুব দিয়ে আক্রমণ করতে পারবে তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন উদ্ভাবিত মোটর দূরপাল্লার মিশাইল বহনকারী এসব সাবমেরিনকে আরও বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলবে। এর সাহায্যে বিশালাকৃতির সাবমেরিনগুলো সমুদ্রে আরও গোপনে এবং দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করছেন তারা।
নির্মাতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে সাবমেরিনগুলো ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে যাচ্ছে।