দেশজুড়ে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ইতালি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে রোববার নতুন বিধিমালা ঘোষণা করবেন। খবর রয়টার্সের।
প্রধানমন্ত্রী কন্তের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার নতুন করে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ফলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন কড়াকড়ির বিষয়ে স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ ধরা পড়ে। অপরদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এমনকি সে সময় করোনার হানায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইতালি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ইতালি।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি করে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। ফলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৯২৫ জন। গত কয়েকদিনের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এর আগে গত শুক্রবার নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১০ জন।
ইতালি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীরা নতুন করে লকডাউন জারির কথা ভাবলেও কর্মকর্তারা বলছেন বিকল্প কোনো উপায় অবলম্বন করতে হবে। তারা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে মেনে চললেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
গত ১০ দিনে দু’বার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে ইতালি। বাড়ির বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া রেস্টুরেন্ট, খেলাধুলা, স্কুলের কর্মকাণ্ড এবং জনসমাগমে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।
ইতালির বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম যেমন জিম, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মতো কাজে হয়তো নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
ব্রিটেনের পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুহারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে মারা গেছে।