বরিশাল নগরীর বানিজ্যিক এলাকা চকবাজার, ফলপট্টি, কাটপট্টি, গীর্জা মহল্লায় গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বিসিসি’র উচ্ছেদ শাখা। ফুটপাত দখল সহ মুল সড়ক দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে এ অভিযানে অসংখ্য পুলিশ অংশ নেয়। এক পর্যায়ে বুলডোজারের সাহায্যে দোকানের সামনের অংশে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এদিকে ঈদ মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আকস্মিক হানা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযানে এসব মার্কেটের কয়েকশ দোকানের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহনাজ পারভীন জানান, রবিবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে সড়ক দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা করেছেন তাদেরকে তা অপসারনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার করা হয়। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাদেরকে সময়ও দেয়া হয়।
তাতে তারা কর্নপাত না করায় বিসিসি ও পুলিশ তা উচ্ছেদ করে। এসময় বিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ গোলাম রউফ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ নাসের উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীরা নেতারা এসময় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ অভিযানের নামে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। তারা ফুটপাত খালি রেখে ব্যবসা পরিচালনা করলেও অহেতুক তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। দুপুর ১টার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে ফেলে।
চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মৃনাল কান্তি সাহা বলেন পূর্বের কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করেই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এতে ব্যবসায়ীদের দোকান-পাটের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতনদের সাথে সাক্ষাত করবেন বলে ব্যবসায়ীরা নেতারা জানান। আজ দুপুর পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান শেষে সোমবার রাত বারটা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় দেয়া হয়েছে। ঐ সময়ের মধ্যে বিসিসি সীমানা এলাকায় ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে থাকা বিভিন্ন ধরনের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।