কারো চোখে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র একজন ম্যাজিক ম্যান, কেউ কেউ আবার তাকে বলেন, সাহসী ও কর্মবীর এক নগর পিতা। উচ্চগতির জীবনে মেয়র হওয়ার আগে ও পরে এক মুহূর্তও বসে থাকার মানুষ নন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র ৮ মাসে প্রমাণ করেছেন নগরবাসির জীবনমান উন্নয়নই তাঁর ব্রত! নিজের এ লক্ষ্য পূরণে নগরবাসিকে কাক্সিক্ষত স্বপ্নের নগরী উপহার দিতে দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। নগরবাসির সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছেন তিনি। পরিকল্পিত উন্নয়নেই বদলে দেয়া সম্ভব জীর্ণ বরিশাল নগরীকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অলসভাবে বসে না থেকে ছুটে চলেছেন এবং চিহ্নিত করেছেন নগর এবং নগরবাসির সমস্যা। তৎপর রয়েছেন সমাধানেও। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা নিশ্চিত, নগরীকে পুরোপুরি জলাবদ্ধতামুক্ত করা, নগরীর ওয়ার্ডসমূহে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন নিশ্চিত ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের কাজগুলোকেই প্রথমে গুরুত্ব দিয়ে করেছেন বিসিসি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
এক কথায় তিনি নগরবাসির স্বপ্ন দ্রষ্টা। যিনি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ইতিবাচক কর্মকান্ডে বাহাবা পাচ্ছেন নগরবাসির। কি রাত কি দিন ৩০টি ওয়ার্ড চষে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। এরই মধ্যে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করে শুধু বরিশাল নয়, দেশজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন এই নগর পিতা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গত রবিবার বরিশালে এসেই জেব্রা ক্রসিং নিয়ে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র ভূয়সী প্রশংসা করেন। খোদ বিসিসি’র কর্মকর্তা কর্মচারীরাও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’র গুনগানে পঞ্চমুখ। একাধিক কর্মকর্তা জানান, মেয়র মহোদয়ের কর্মকান্ডে আমরা খুশি। এই প্রথম ঈদের আগে সকল পর্যায়ের স্টাফদের বেতন বোনাস দিয়েছেন কোন মেয়র। তারা আরও জানান, মাত্র ৮ মাসে নগর ভবনকে তিনি যেভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গুছিয়ে নিয়েছেন অতিতে তা কোন মেয়র পারেননি। ‘আমরাই গড়বো আগামির বরিশাল’ শ্লোগানকে সামনে রেখে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজস্ব গাড়ি বা মটর বাইকে চেপে নগরীর আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে প্রিয় নগরীর এক এক স্থানের সমস্যা বিচক্ষণতার সাথে দেখাসহ নগর উন্নয়ন কাজের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং দিচ্ছেন নানা দিক নির্দেশনা। শুধু তাই নয়, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়ার পর বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন নগরবাসির সেবাদানে। মাত্র ৮ মাসেই তার সফলতা পেতে শুরু করেছেন নগরবাসি। ময়লা আবর্জনার স্তুপ এখন আর চোখে পড়ে না। সকাল হলেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরী পাচ্ছেন নগরবাসি। অতীতের দুর্গন্ধময় নগরী থেকে মুক্তি মিলেছে সবার। সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ প্রায় ৮ মাস হলো মেয়রের দায়িত্বভার নিয়েছেন।
এরই মধ্যে একের পর এক চমক দেখাতে শুরু করেছেন। যা আগের মেয়র পাঁচ বছরেও করতে পারেননি। এমনটাই জানালেন বরিশালের সচেতন নাগরিকরা। পেভার মেশিন দিয়ে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তায় যত খানাখন্দ রয়েছে তা দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে। তাছাড়া বরিশালে এই প্রথম সড়কে জেব্রা ক্রসিং বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক নতুন রুপে সংস্কার নগরীর ড্রেনগুলো পয়ঃনিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে ময়লা অপসারণ করাসহ রুপাতলী এলাকার ওয়াটার প্লান্ট, হাউজিং এলাকার কর্দমাক্ত রাস্তা, ৫ নং ওয়ার্ড কসাইখানার পোল, শিশুদের জন্য গ্রিন সিটি পার্ক, আমানতগঞ্জ এলাকার টিবির পুকুরের ঘাটল নির্মাণ, ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচলের জন্য রাইডার নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজসহ মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ, সেই সাথে যানজট এড়াতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ এমনকি কুকুরের বাসস্থানের জন্যও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সাথে আগামীর বরিশাল কেমন চাই শ্লোগান নিয়ে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, দুঃখি মানুষের খোঁজ খবর নিতেও ভুল করছেন না তিনি। এ ছাড়া নিজ দলের অসুস্থ নেতাকর্মি থেকে শুরু করে গরিব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় হরহামেশাই। কাছে গিয়ে আগ্রহ করে জানতে চান কোন সমস্যা আছে কিনা। সুখ দুঃখের প্রতিটি কথা মনোযোগ সহকারে শুনছেন। এ যেন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। বিসিসির ঘনিষ্ঠ সূত্রে থেকে জানা যায়, বড় ধরনের কোন বাজেট না আসলেও নিজস্ব অর্থায়নে পরিবেশবান্ধব নগরী গড়তে মেয়র নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঐ সুত্রটি আরও জানায়, শহর উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ আসলে স্বপ্নের নগরী উপহার দেবেন তিনি। আধুনিক নগরী গড়তে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তারা জানান। বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, তিনি অতীতে মেয়র না হয়েও নগরবাসির পাশে দাঁড়িয়েছেন, সাহায্য করেছেন অসহায় মানুষের। যে কোন সমস্যার সমাধান করেছেন অনায়াসে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, নগরীর প্রায় সব সড়ক ভাঙাচোরা ছিলো, এখন তা নেই বললেই চলে। তাছাড়া পরিস্কার পরিছন্নতার কারনে নির্মল বায়ুতে আমরা বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছি।