ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সহিদুল হক এই রায় দেন। পাঁচ বছর আগের এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে রায়ে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর তথাকথিত শারীরিক পরীক্ষার আইনি বা বিজ্ঞানসম্মত কোনো ভিত্তি নেই।
রায়ে আদালত বলেছেন, ধর্ষণ মামলার বিচার চলাকালে আইনজীবীরা নারীর প্রতি অমর্যাদাকর কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ সরকার যে হেলথ প্রটোকল করেছে, সেই বিধি মেনে রেপ ভিকটিমদের পরীক্ষা ও ভার্জিনিট টেস্ট করতে হবে। এছাড়া, ধর্ষণের শিকার নারীর পরীক্ষার সময় নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ সদস্য, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও নারী নার্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
এ নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটরকে কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও শারমিন আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অধিকারকর্মীরা। তারা বলে আসছিলেন যে, দুই আঙ্গুলের ‘অযৌক্তিক’ ওই পরীক্ষা ভিকটিমকে আবার ধর্ষণ করার শামিল।